কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বামুনিয়া ও পার্শ্ববর্তী চালতি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝখান দিয়ে যাতায়াতের রাস্তাটি গিয়েছে। রাস্তাটি ঝাওয়া সমবায় সমিতির কাছ থেকে শুরু হয়েছে। ৪৫০মিটার ওই রাস্তা ঢালাই করার জন্য এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭লক্ষ ২০হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। গত ১আগস্ট রাস্তার কাজ শুরু হয়। এরপর ৪তারিখ আচমকা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য অঞ্জনাদেবী কয়েকজনকে নিয়ে সেখানে যান এবং নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ঢালাই বন্ধ করে দেন।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার দেবাশিস দাসের কাছে তিনি টাকা চান। কিন্তু, ঠিকাদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিনি কাজ বন্ধ করে দেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরই ওই পঞ্চায়েত সদস্যা স্থানীয় জুনপুট কোস্টাল থানায় একাধিক গ্রামবাসীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে একজোট হয় গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁরা এর প্রতিবাদে জুনপুট কোস্টাল থানায় ডেপুটেশন দেন এবং দাবি জানান, থানায় দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন জানা বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। রাস্তাটির কাজ শুরু হয়েই বন্ধ হয়ে গেল। অঞ্জনাদেবী ঠিকাদারকে ৭০হাজার টাকা কাটমানি চাইছিলেন। ঠিকাদার ৪০হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি ৩০হাজার টাকা না দেওয়ায় তিনি কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ঠিকাদার দেবাশিস দাসও বলেন, ওই সদস্যা ৪আগস্ট আচমকা আমার কাছে আসেন। তাঁর অনুমতি ছাড়া রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। তাঁর চাপাচাপিতে আমি ৪০হাজার টাকা দিয়েছি।
যদিও ঠিকাদার কেন তাঁকে টাকা দিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযুক্ত ওই পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, রাস্তার কাজ নিয়ম মেনে হচ্ছিল না। তাই আমি বাধা দিয়ে বন্ধ করেছি। সেই সময় সেখানে উপস্থিত থাকা কয়েকজন আমাকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও টাকাপয়সা ছিনতাই করে। তাই আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এখানে টাকাপয়সা নেওয়ার কোনও ব্যাপার নেই।
দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির স¬হ-সভাপতি তরুণ জানা বলেন, বিষয়টি আমাদের গোচরে এসেছে। ওই পঞ্চায়েত সদস্যা কেন কাজ বন্ধ করলেন, টাকা চাওয়া হচ্ছিল কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখব।
বিডিও মনোজ মল্লিক বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ আসেনি। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। যদি টাকা দেওয়া হয়ে থাকে, তা হলে কেন ওই ঠিকাদার টাকা দিলেন, তা আমরা খতিয়ে দেখব।