কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
ডিপিএলের তরফে কাঞ্চন চক্রবর্তী বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে পাহাড়পুর মৌজায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের একর পিছু ৩২হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। নতুন করে কাজ শুরুর জন্য আরও কিছু জমি দ্রুত অধিগ্রহণ করা হবে।
বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, পাহাড়পুর খনিতে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করতে চাইছি। তাই স্থানীয় কমিটি ও ডিপিএলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আশা করছি, সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর ২০১২সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বড়জোড়ার পাহাড়পুরে প্রথম পিপিপি মডেলে খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হয়। কাজ শুরুর সময় বছরে এক মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। এজন্য রাজ্য সরকার রাজস্ব বাবদ ৫৬কোটি টাকা পাবে বলে ঠিক হয়। কাজ শুরু করার পরেই দেখা যায়, কয়লা উত্তোলনের জন্য পাহাড়পুর এলাকায় যে পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল তার বাইরেও প্রচুর জমিতে কয়লা উত্তোলনের সময় মাটি ডাঁই করে রেখে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার চাষযোগ্য জমিতে চাষবাস বন্ধ হয়ে যায়। জমি অধিগ্রহণ না করেই তাদের জমিতে খনি কর্তৃপক্ষ মাটি জড়ো করছে। তাই অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণ করে তারপর কাজ করার দাবিতে সরব হন পাহাড়পুরের চাষিরা।
বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার তাঁরা বিক্ষোভও দেখান। এসবের মাঝে ২০১৫সালে খনি বণ্টনের সময় বড়জোড়ার পাহাড়পুর কয়লা খনির ইজারা পায় ডিপিএল। তারপর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে কয়লা উত্তোলনের কাজ বন্ধ ছিল। জমি অধিগ্রহণ না করেই কয়লা খনি লাগোয়া একাধিক মৌজার বিঘারপর বিঘা চাষের জমি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী। পাশাপাশি নতুন করে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে দেখে ফের বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হন চাষিরা। তারপরেই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয় জেলা প্রশাসন।