কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
প্রসঙ্গত, দীঘায় বেশ কয়েকমাস ধরেই বিদ্যুতের আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল লাগানোর কাজ চলছে। বিদ্যুৎবিভ্রাট রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এদিন ওল্ড দীঘায় আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল স্থাপনের কাজ পরিদর্শনের শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, দীঘা সহ প্রতিটি জায়গাতেই আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল বসানোর কাজ অতি দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। দীঘায় আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল স্থাপনের কাজ কতদূর এগিয়েছে, কাজের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, তা জানার জন্যই আমি এসেছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের মধ্যেই দীঘায় আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল বসানোর কাজ শেষ করার পরিকল্পনা আমাদের মাথায় রয়েছে। এরপর দীঘাকে বিদ্যুৎ সরবরাহের দিক দিয়ে একটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে বলে মনে করছি। সমস্যা নিরসনে রামনগরে একটি বিদ্যুৎ সাবস্টেশন গড়ে তোলা হবে বলেও মন্ত্রী জানান। এও জানান, রামনগরে সাবস্টেশন গড়ে উঠলে দীঘায় বিদ্যুৎ নিয়ে কোনও সমস্যা বা অভিযোগ আর থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল বসানোর কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কোথাও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে, কোথাও রাজ্য সরকারের একক উদ্যোগে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল স্থাপনের কাজ চলছে। রাজ্যের উত্তরবঙ্গ ছাড়াও বারাসত, মধ্যমগ্রাম সহ যে সমস্ত জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল বসানোর কাজ চলছে, প্রতিটি জায়গাতেই আমি কাজের গতিপ্রকৃতি পরিদর্শন করতে যাব। মন্ত্রী বলেন, দীঘা এখন সবার কাছে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। গবিব-বড়লোক নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষজন দীঘায় বেড়াতে আসছেন। মুখ্যমন্ত্রী দীঘাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। দীঘা এখন আগের চেয়ে আরও বেশি মোহময়ী হয়ে উঠেছে। রোজই দীঘায় ভিড় লেগে রয়েছে। রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা দীঘায় বেড়াতে আসছেন। তাই দীঘায় বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে শুরু করে এই সংক্রান্ত পরিকাঠামোর যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে, সেবিষয়ে আমরা বিশেষভাবে নজর দিতে চাইছি।