কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
স্বর্ণময়ী রোডের একপাশে রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। পাশাপাশি বহরমপুর কোর্ট স্টেশন থেকে শহরে ঢোকার এটাই অন্যতম রাস্তা। একদিকে মেডিক্যাল কলেজ অন্যদিকে রেল স্টেশন, দুয়ের ফাঁদে রাস্তার উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছিল। একইসঙ্গে নির্মীয়মাণ চুঁয়াপুর রেল ওভারব্রিজ ও রাস্তার উপর বাজার উঠে আসায় এই এলাকা যানজটমুক্ত করা দুষ্কর হয়ে উঠছিল। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো অনিয়ন্ত্রিত টোটোর দাপটে নাজেহাল হয়ে উঠছিলেন স্থানীয় মানুষ সহ রোগীর পরিজনরা। পুলিস-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জবরদখল উচ্ছেদ অভিযানে নামে বহরমপুর থানার পুলিস। প্রথমে স্বর্ণময়ী রাস্তায় নজর দেওয়া হয়। ৩১আগস্ট থেকেই মেডিক্যাল কলেজের পাঁচিল লাগোয়া ব্যবসায়ীরা পুলিসের সক্রিয়তা দেখে নিজেরাই দখল করা অংশে ঘর ভাঙতে শুরু করেন। রামকৃষ্ণ স্ট্যাচু থেকে বিবেকানন্দ স্ট্যাচু পর্যন্ত প্রায় ৭০-৮০জন ব্যবসায়ী দখল করা অংশ ছেড়ে দেন। ফলে রাস্তাটি প্রায় দ্বিগুণ প্রশস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত কয়েকদিনে স্বর্ণময়ী রোডে যানজট হয়নি। অথচ এই রাস্তা যানজটমুক্ত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল পুলিসকে।
স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পুলিসের অভিযান ম্যাজিকের মতো কাজ হয়েছে। এখন যানজট অনেকটা কমেছে। এক অ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, গত কয়েকদিনে সমস্যা হয়নি। ফুটপাত দখলমুক্ত হওয়ায় খুশি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনের ওষুধ ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য, পুলিস টোটোর রাশ ধরলেই শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে আসবে।