কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
২০১৩সালের ১৬ডিসেম্বর তারাপীঠে মৃতদেহ সৎকার করতে এসে চোলাই খেয়ে মল্লারপুর থানার মহুলা গ্রাম ও মাড়গ্রাম থানার কুতুবপুর গ্রামের আটজনের মৃত্যু হয়। এরপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। চোলাই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। ফলে, কিছুদিন চোলাইয়ের রমরমা কমে। সেই সঙ্গে বাড়িয়ে তোলা হয় সরকারি মদের দোকান। গজিয়ে উঠেছে বার ও মদের দোকান। দিনের পর দিন সরকারি মদের দোকান বাড়িয়েও চোলাইয়ের দাপট কমানো যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, চোলাইয়ের রমরমা ঠেকাতে ২০১৬সালের কৌশিকী অমাবস্যায় সারারাত মদের দোকান খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। সেবার আটটি সরকারি দোকান থেকে ৩কোটি ২৫লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। ২০১৭সালে কয়েকটি জেলায় বন্যার কারণে পুণ্যার্থীর সংখ্যা কম হয়েছিল। ফলে, মদ বিক্রি কমে দাঁড়িয়েছিল দেড় কোটিতে। কিন্তু, গতবছর অর্থাৎ ২০১৮সালে মদের দোকান বাড়িয়েও সরকারি অনুমোদিত দোকান থেকে মদ বিক্রি হয়েছিল ১কোটি ৮৮লক্ষ টাকার মতো। প্রশাসনের একাংশের মতে, এর কারণ চোলাইয়ের রমরমা। যদিও কয়েকমাস আগে নদীয়ার শান্তিপুরে বিষমদে মৃত্যু হয় ১২জনের। সেই ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে চোলাই বন্ধ করতে উঠেপড়ে লাগে আবগারি দপ্তর। এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের বিকল্প আয় হিসেবে ১০০দিনের কাজ ও উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে সাবলম্বী করে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও চোলাই মদ চলছেই। শনিবারের বৈঠকে পুলিস-প্রশাসনকে এব্যাপারে সর্তক করলেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, চোলাই মদ বিক্রি বরদাস্ত করা হবে না। চোলাই মদ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।
এই ব্যাপারে আবগারি দপ্তরের সুপারিন্টেনডেন্ট বাসুদেব সরকার বলেন, আমরা সারাবছর চোলাই বন্ধে অভিযান চালাচ্ছি। তবে, কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। চোলাইয়ের জন্য সরকারি মদের দোকানে বিক্রি কমছে এটা ঠিক নয়।