কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুষ্পদেবী জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মতো ঘটনার দিন বিকেলে তিনি হাঁটতে বের হয়েছিলেন। জাতীয় সড়কের পাশে ফুটপাত ধরে তিনি হাঁটছিলেন। ঘোড়দৌড়চটি এলাকায় একটি বিয়েবাড়ির কাছে দু’টি বাইকে চেপে চারজন আসে। তাদের মধ্যে একজন পুলিসের পোশাক পরেছিল। বাকিরা সাদা পোশাকে ছিল। পুলিসের পোশাকে থাকা লোকটি জামার পাশে স্টার লাগানো ছিল। সে নিজেকে এসপি বলে পরিচয় দেয়। সেই সময় সেখান দিয়ে একটি টোটো যাচ্ছিল। ওই চারজন টোটোটিকে থামায়। টোটোতে থাকা দুই যাত্রীর সমস্ত গয়না খুলে ব্যাগে ভবে নেয়। তারপর একটি ব্যাগ টোটোর যাত্রীদের ফেরত দেয়। এরপর তাঁকে তারা বলে, আলিশা থেকে পুলিস লাইন পর্যন্ত চুরি ছিনতাই হচ্ছে। তাই, চেকিং চলছে। রাস্তায় সোনার গয়না পরে বের হওয়ার জন্য তাঁকে বকাঝকা করে তারা। এরপর তাঁকে সমস্ত গয়না খুলে দিতে বলে তারা। পুলিস ভেবে তিনি তাঁর সোনার বালা ও অন্যান্য গয়না খুলে এসপি পরিচয় দেওয়া লোকটির হাতে তুলে দেন। এরপর তারা একটি সাদা কাগজের প্যাকেটে সেগুলি রেখে দেয়। প্যাকেটটি তাঁর হাতে দেয়। তারপর তাঁকে বাড়ি ফিরে যেতে বলে তারা। কিছুদূর এগিয়ে তাঁর সন্দেহ হয়। প্যাকেট খুলে তিনি দেখেন, তার ভিতরে গয়না নেই। কিছু কাগজ মোড়া রয়েছে তাতে। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি ঘটনাস্থলে ফিরে যান। ততক্ষণে অবশ্য বাইক নিয়ে পালিয়েছে প্রতারকরা। স্থানীয় বাসিন্দারাও তারা কোন দিকে গিয়েছে সে ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি। শুক্রবার ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
তদন্তে নেমে পুলিস জেনেছে, রবিবার বীরভূমের বোলপুরে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বোলপুর-জয়দেব সড়কে সকালে এক প্রৌঢ়াকে একই কায়দায় ঠকিয়ে সোনার হার নিয়ে পালিয়েছে প্রতারকরা। দু’টি ঘটনায় একই গ্যাং জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।