বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে বীরভূম জেলাজুড়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক উঠেছিল। লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে লাভপুর বিধানসভা থেকে শাসকদল মাত্র ৩৮০০ভোটে লিড পায়। উল্লেখ্য, লাভপুরের তৃণমূলের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে যোগদান করেন নির্বাচনের পরেই। তারপরই লাভপুরের বেশকিছু অঞ্চল সম্পূর্ণরূপে বিজেপি দখল করে নেয়। তারপর থেকেই বিভিন্ন গ্রামে বিজেপির সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে শাসকদল। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন গ্রামে কাটমানি ইস্যুতে শাসকদলের নেতাদের ঘেরাও করা হয়। গ্রামবাসীরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করলেও পিছন থেকে মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। লাভপুর ব্লকে নিজেদের শক্তি ও সংগঠন দেখানোর জন্য লাভপুর থানা ও বিডিও অফিসে অবস্থান-বিক্ষোভের সময় প্রচুর সংখ্যক কর্মী-সমর্থকদের ভিড় জমায় বিজেপি। বিভিন্ন গ্রাম থেকে শয়ে শয়ে মানুষ বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে দাবি করা হয়। তারই মাঝে এবার গেরুয়া শিবির ছেড়ে কর্মীরা ঘরে ফিরছেন বলে দাবি লাভপুর ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বের। সোমবার দ্বারকা অঞ্চলের আবাডাঙা গ্রামে প্রায় ৩০০জন ফিরলেন ঘাসফুলে। মঙ্গলবার লাভপুর তৃণমূল কার্যালয়ে ঠিবা অঞ্চলের বেশকিছু গ্রাম থেকে প্রায় ৫০০জন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। লাভপুর ব্লকের তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা জেলার সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নানের হাত থেকে পতাকা তুলে নেন তাঁরা।
ঠিবা অঞ্চলের তৃণমূলের যুব সভাপতি সাহিন কাজি বলেন, মানুষ তাঁদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তৃণমূলের ছাতার তলায় থেকে যে সুখ ও শান্তি পেয়েছিল সাধারণ মানুষ তা বিজেপি আসার সঙ্গে হারাতে থাকে। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসতে শুরু করেছেন।
বীরভূম জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, বিজেপি ছেড়ে কেউ তৃণমূলে যায়নি। যারা তৃণমূল ছিল তাদেরই আবার যোগ করানোর অভিনয় করছে শাসকদল। যেসব তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে চলে আসতে চাইছিল তাদেরই নতুনভাবে দায়িত্ব দিয়ে দলে আটকে রাখছে তৃণমূল।