কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারি থানার গাঙুরে বছর ষোলোর ওই কিশোরীর বাড়ি। সে স্থানীয় স্কুলে পড়াশুনা করে। সাজিদ ও সামা সম্পর্কে কিশোরীর আত্মীয়। কিশোরীর বাবা-মা অত্যন্ত গরিব। দিনমজুরের কাজ করে তাঁদের সংসার চলে। মাস ছয়েক আগে কিশোরীর বাড়িতে আসে সাজিদ ও সামা। কিশোরীকে তারা মুরাদাবাদে নিয়ে গিয়ে ভালো কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেয়। এমনকী সোনার গয়নাও করে দেওয়ার টোপ দেওয়া হয় কিশোরীকে। গত ৪এপ্রিল সকালে বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী। তারপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজখবর নিয়ে কিশোরীর বাবা-মা জানতে পারেন, তাকে সাজিদ ও সামা মুরাদাবাদে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছে। গত ৩ জুলাই কিশোরীর মা মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে অপহরণ করে আটকে রাখার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিস।
আদালত চত্বরে কিশোরী বলে, মাস ৫-৬আগে আমাদের বাড়িতে এসে ভালো কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমাকে মুরাদাবাদে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে আমাকে বেশ কয়েকটি বাড়িতে কাজ করাত। ঠিকমতো খেতে-পরতে দিত না। রাতে ২টো রুটি খেতে দিত। সারাদিন কাজের পর রাতে বাড়ি ফেরার পর সাজিদ আমাকে ধর্ষণ করত। লোক ডেকে এনে আমাকে তাদের সঙ্গে কাটাতে বাধ্য করত। তাদের কাছ থেকে টাকা নিত। সব অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করতাম। ওদের কথামতো কাজ না করলেই লোহার রড দিয়ে আমাকে মারত। এমনকী, গায়ে ছ্যাঁকা পর্যন্ত দিত। ঘটনার কথা কাউকে বললে আমাকে খুনের হুমকি দিত। আমি চাই ওদের কঠোর শাস্তি হোক।