গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তিনি বলেন, আজকে নয়াগ্রামে নতুন করে সন্ত্রাস দেখতে পাচ্ছি। মাওবাদীর অন্য এক রূপ আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেই মাওবাদী তৃণমূল সরকার রূপে ফিরে এসেছে। এই সন্ত্রাসকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাড়াতে হবে। তৃণমূলের নেতাদের হুমকি দিয়ে ভারতী ঘোষ বলেন, এখানাকার মানুষকে ঠকানো খুব মুশকিল। এই সরকার কাটমানি খেয়ে ফুলেফেঁপে গিয়েছে। কাউকে কিছু দেওয়ার ক্ষমতা নেই। জনসাধারণের টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে পকেটে ঘুরছে। তৃণমূল নেতারা যা যা করেছে, আমাদের সব নথিভুক্ত রয়েছে। এই জঙ্গলমহল থেকে কেউ পালিয়ে বাঁচতে পারবে না।
ভারতীদেবী বলেন, আমি জঙ্গলমহলে আবার ঢুকে গেলাম। আমাদের চোখ বাড়ছে। আমার দেখব কারা কী করছে, কেন করছে, কিসের জন্য করছে। নয়াগ্রামের সমস্ত মানুষকে বলছি, আপনারা নিজের অধিকার সর্ম্পকে সচেতন হন, বিজেপি আপানাদের পাশে ও সঙ্গে আছে। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। একবার দু’বার নয়, হাজারবার আসব। আমরা থানা ও রাস্তা ঘেরাও করব। আপনার আমাদের সঙ্গে থাকুন। পঞ্চায়েত ও লোকসভা পর্যন্ত আমাদের নিয়ে গিয়েছেন। তা টেনে বিধানসভা পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের উদ্দেশে ভারতী ঘোষ বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভালো ভালো কথা বলে প্রথমে নিয়ে এসেছিল। এখন হাজার হাজার সিভিক ভলান্টিয়ারকে বঞ্চিত করে পুলিসের ডিউটি করিয়ে তৃণমূলের দলদাসে পরিণত করে সম্পূর্ণ একপাশে ফেলে রাখা হয়েছে। সিভিকদের বলছি, আপনারা জনগণের আন্দোলনে যোগ দেবেন। আপনারা ভুলে যাবেন না মানুষ যেভাবে বঞ্চিত, আপনারা সেভাবেই বঞ্চিত। আজও আপনাদের চাকরি সুরিক্ষত নয়। যে কোনও অর্ডার করে তাড়িয়ে দিতে পারে।
এদিন বিজেপির জনসভায় ভারতী ঘোষ ছাড়াও দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, ঝাড়গ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।