গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্ক তাদের এটিএমগুলিতে টাকা ভরার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে। সেই সংস্থা আবার অন্য একটি সংস্থাকে এই কাজে লাগিয়েছে। তারা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে বিভিন্ন এটিএমে ভরে। কারা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে পারবে, তাও সংস্থাটি ব্যাঙ্ককে জানিয়ে দিয়েছে। তাদেরই ব্যাঙ্ক টাকা তুলতে দেয়। ওই সংস্থারই কর্মী খড়্গপুর শহরের বাসিন্দা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় গত ৮ জুলাই স্টেট ব্যাঙ্কের আইআইটি শাখা থেকে ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা তোলে। অভিযোগ, তালবাগিচা এটিএমে ৮ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার পর তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার মা থানায় মিসিং ডায়েরিও করেন। পরে সংস্থার পক্ষ থেকে সোমনাথের বিরুদ্ধে থানায় টাকা লোপাটের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিস জানিয়েছে, তদন্তে নেমে বিভিন্ন রাজ্যে সোমনাথের ফোনের টাওয়ার লোকেশন পায়। সে তার এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগও রেখেছিল বলে পুলিস জানতে পারে। মাকে দিয়ে মিসিং ডায়রি করানোটাও পরিকল্পিত বলেই ধারণা হয় পুলিসের। তদন্তে পুলিস এও জানতে পারে, সে টাকাটা বিভিন্নজনের কাছে ভাগ করে রেখেছে। এই টাকা লোপাটের ঘটনায় একটা দল যুক্ত আছে বলে পুলিস জানতে পারে। এক পুলিস আধিকরিক বলেন, সোমনাথ পুলিসকে ধোঁকা দিতে তার মোবাইল ফোনটা ঘরে রেখে চলে যায়। সে অন্য ফোন থেকে তার এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। ফলে পুলিস খুব সহজেই তার গতিবিধির উপর নজর রাখতে পারছিল।
পুলিস জানিয়েছে, রবিবার রাতে সে খড়্গপুরে আসে বলে খবর পাওয়া যায়। এরপর পুলিস জাল পেতে তাকে ধরে ফেলে। তার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা পাওয়া যায়। তারই সূত্র ধরে সংস্থার আর এক কর্মী নারায়ণগড়ের বাসিন্দা সুভাষ মাইতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। একটি ঘরে জড়ো করে রাখা কাঠের ভিতর একটি ছোট বাক্সে সেই টাকা লুকনো ছিল। পুলিসের আশা, ধৃত দু’জনকে জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করে বাকি টাকার হদিশ করা যাবে।