কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এপ্রসঙ্গে বিজেপির রামপুরহাট শহর সভাপতি নীলকন্ঠ বিশ্বাস বলেন, ওই উপভোক্তারা যে মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে কাউন্সিলারের বাড়ি যাননি তার প্রমাণ মিলতে শুরু করেছে। অথচ উল্টে গরিব মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হল। আমরা এর বিধান চাইছি। যারাই গরিব মানুষদের এভাবে ঠকাল তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করুক পুরসভা ও প্রশাসন। যদিও ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, সমস্ত বাড়ির তদন্ত শেষ হওয়ার পরই এব্যাপারে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। আসলে উপভোক্তারা নিজেরাই প্রকল্পের টাকা তুলে মিস্ত্রি লাগিয়ে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। তবে যাঁরা বাড়িগুলি নির্মাণ করেছেন তাঁদের আমরা ছাড়ব না। দুর্নীতিকে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
কিছু বাড়ির ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে, দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। আবার কিছু বাড়ি অসম্পূর্ণ। অনেক উপভোক্তার দাবি, বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন ঠিকাদার। এই সমস্ত অভিযোগ তুলে গত শুক্রবার রামপুরহাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান উপভোক্তারা। তাঁরা বলেন, কাউন্সিলার নয়, অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে ঠিকাদার। বাড়ির অনুমোদন পেতেই ১২টি ফাঁকা চেকে সই করিয়ে নিয়েছিলেন পুরসভা নিযুক্ত ঠিকাদার। আমাদের নামে বরাদ্দ অর্থ আমরাই ব্যবহার করতে পারিনি। এটা কাউন্সিলার জানেন না তা হতে পারে না। আমরা সেই টাকা ফেরত চাইতে এসেছি। যদিও সেই সময় ভাইস চেয়ারম্যান পুরসভায় ছিলেন। পরে খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন তিনি। তারপর উপভোক্তাদের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিস এসে চার উপভোক্তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিকেলের দিকে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ভাইস চেয়ারম্যানের স্ত্রী তনুশ্রী সরকার। পুলিস অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতদের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া বাড়িতে প্রবেশ, দরজায় অ্যাসিড ছোড়া, বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ও চুরি সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শুরু করে। বর্তমানে সেই চার উপভোক্তা আদালতের নির্দেশে ১৪ দিনের জেল হেপাজতে রয়েছেন। ধৃত শ্রীকৃষ্ণ হালদার, সুশান্ত মাল, কালু হালদার ও বিনয় দাস সকলেই দিনমজুর।