বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, কাটমানির পোস্টার নতুন কিছু নয়। বর্ধমান শহর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় প্রতিদিনই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানির পোস্টার পড়ছে। সোমবারও বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ এলাকায় কাটমানির পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। গলসির ঘটনায় পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গলসি-২ ব্লকের মসজিদপুর অঞ্চলের ইটারু গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা এলাকার এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নামে কাটমানির অভিযোগ তুলেছিলেন। গ্রামের লোকজন ওই নেতাসহ তিনজনের নামে বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে জবকার্ডধারীদের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে গরিব মানুষদের বাড়ি পাইয়ে দেওয়াতেও কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা। স্থানীয়দের দাবি, এদিন বিডিও অফিসে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এবং অভিযোগকারীদের ডাকা হয়েছিল। তা নিয়ে টানটান উত্তেজনা ছিল। শাসকদলের ওই নেতা দলবল নিয়ে বিডিও অফিসে হাজির হয়েছিলেন। অভিযোগকারীদের সঙ্গে গ্রামের তৃণমূলকর্মীরাও বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন।
অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতার লোকজন বিডিও অফিস চত্বরে অভিযোকারীদের চমকাতে থাকে। তারপর সেখানেই প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বাঁধে। তবে, কিছুক্ষণ পরই থেমে যায়। এরপর অভিযোগকারীরা ইটারু গ্রামে ফিরে যান। গ্রামের তৃণমূলকর্মীরাও তাঁদের সঙ্গে ফিরে আসেন। গ্রামের বেশিরভাগ তৃণমূলকর্মী অভিযোগকারীদের পক্ষে। তাঁদের দাবি, তাঁরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। অভিযুক্ত নেতার শাস্তির দাবিতেই তাঁরা অভিযোগকারীদের পাশে রয়েছেন। অভিযোগ, গ্রামে ফেরার পর আচমকা ওই তৃণমূল নেতার লোকজন গ্রামে ঢুকে হামলা করে। একটি চায়ের দোকানের সামনে কয়েকজন বসেছিলেন। প্রথমে তাঁদের মারধর করা হয়। তখন গ্রামের বহু তৃণমূলকর্মী বেরিয়ে এসে রুখে দাঁড়ান। তারপর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। দু’পক্ষের ইঁটবৃষ্টি শুরু হয়। তারপরই গুলি চলে বলে অভিযোগ। একজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, সংঘর্ষ চলার সময় গ্রামের অন্যান্যরাও বেরিয়ে আসেন। তাঁরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে ধরে বেধড়ক মারধরও করেন। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়। গ্রামের তৃণমূলকর্মীদের অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মসজিদের টাকাও লুট করেছেন। দিন কয়েক আগে তিনি ২০ হাজার টাকা জরিমানাও দিয়েছেন। সংঘর্ষের ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের গলসি-২ ব্লকের কার্যকরী সভাপতি নবকুমার হাজরা বলেন, একটি গণ্ডগোল হয়েছে বলে শুনেছি। তবে, সঠিক কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব।