পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রামপুরহাট মহকুমাজুড়ে এদিন প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বিজেপি। এদিন শহরের কামারপট্টি মোড়ের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে রামপুরহাট থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন শতাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থক। নেতৃত্বে ছিলেন দলের রামপুরহাট-১ ব্লক সম্পাদক তাপস রায়, শহর সভাপতি নীলকন্ঠ বিশ্বাস, মহিলা মোর্চার জেলানেত্রী রেশমি দে, জেলা নেতৃত্ব শুভাশিস চৌধুরী প্রমুখ। উল্লেখ্য, অসম্পূর্ণ ও নিম্নমানের বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ তুলে গত শুক্রবার রামপুরহাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকারের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাউসিং ফর অল প্রকল্পের উপভোক্তারা। অভিযোগ, ওই ঘটনায় পুলিস চার উপভোক্তাকে গ্রেপ্তার করে অ্যাসিড হামলা, চুরি সহ একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বর্তমানে তাঁরা জেলে রয়েছেন। নীলকন্ঠবাবু বলেন, তৃণমূল নেতাদের তাঁবেদারি করতেই ওই চারজনকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে পুলিস। তাই পুলিসকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আবেদন জানানো হয়েছে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। রামপুরহাট থানার আইসি সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এনিয়ে কিছু বলতে চাননি।
অন্যদিকে, নলহাটি থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন জেলানেত্রী রূপা মণ্ডল। থানার সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিসের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের তাঁবেদারি করে বিজেপি কর্মীদের ধরে মিথ্যা মামলা দেওয়া বন্ধ করুন। আর তাঁবেদারি করতে চাইলে উর্দি জমা দিন। থানাকে তৃণমূলের আখড়া হতে দেবেন না। যেদিন নারী শক্তি জাগবে, সেদিন থানা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রেখে দেবে। অন্যদিকে একই দাবি তুলে বিজেপির পক্ষ থেকে ময়ূরেশ্বর, নলহাটি, মাড়গ্রাম ও মুরারই থানায় বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, এদিন বোলপুর মহকুমার ইলামবাজারে বিজেপির দলীয় কার্যালয় থেকে থানার উদ্দেশে মিছিল করে আসেন কর্মী-সমর্থকরা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিরাপত্তার জন্য পুলিস বিজেপির মিছিল থানা থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে আটকে দেয়। এছাড়া লাভপুরের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল সহ অন্যান্যরা। পাড়ুইয়ের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন অর্জুন সাহা। নানুর, বোলপুর ও শান্তিনিকেতন থানাতেও মিছিল করে থানায় স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
অপরদিকে, সিউড়ি শহরেও এদিন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা সার্কিট হাউসে জমায়েত হন। শহর পরিক্রমা করে মিছিলটি প্রশাসন ভবনের সামনে দিয়ে থানা পর্যন্ত যায়। থানার সামনে বিজেপি সভাপতি বলেন, পুলিস-প্রশাসনের উপর খারাপ আচরণ করবেন না। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিকার না করছে ততক্ষণ পুলিস গ্রামে গেলে তাদের আটকে রেখে চা, জল খাওয়ান। তবে এদিন কাঁকরতলা থানায় বিজেপির ডেপুটেশন কর্মসূচিতে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা একটি গাড়ি নিয়ে থানার দিকে যাচ্ছিলেন। সেইসময় কাঁকরতলা থানা এলাকায় গণ্ডগোল বাধে। বিজেপির গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এছাড়া কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিজেপি কর্মীরা কাঁকরতলা থানার সামনে সিউড়ি-বাবুইজোড় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিস আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। পুলিস জানিয়েছে, ওই গাড়িটি আটক করা হয়েছে।
এই ঘটনায় বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। আমাদের গাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি কর্মীদের মারধর করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি অশান্তি পাকানোর লক্ষ্যেই এদিন গ্রামের ভিতর দিয়ে গিয়েছিল। পরে সেখানে খারাপ স্লোগান দিয়েছে। তার জেরে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করায় সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এই ঘটনায় দল কোনওভাবেই যুক্ত নয়।