কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জখম উপপ্রধানের ভাই দীপঙ্কর কুণ্ডু বলেন, শহিদ দিবসে গ্রামের লোকজন নিয়ে মোট ৬০ জন একটি বাসে ধর্মতলা গিয়েছিলেন। তাঁরা ফেরার পরে রবিবার রাত ৯টা নাগাদ বিজেপি নেতাকর্মীরা তাঁদের উপর চড়াও হয়। বিজেপি নেতারা জানতে চায় কেন তাঁরা শহিদ দিবসে গিয়েছিলেন। এনিয়ে দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়। পুলিস আসতেই বিজেপির একজন কর্মী নাটক করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পুলিস তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর পরেই এদিন সকালে সূর্যসেন পল্লি এলাকায় আমার দাদা, স্বরূপ বিশ্বাস ও তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের উপরে চড়াও হয় বিজেপির নেতাকর্মীরা। বাঁশ, লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এলাকার মহিলাদেরও বাদ দেয়নি। হাসিনা আনসারি নামে একজন গর্ভবতী মহিলাকে ব্যাপক মারধর করে বিজেপি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপরে এদিন দুপুরে বুদবুদ থানা লাগোয়া সুকান্তনগর এলাকায় তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় তারা। চলতি মাসে এই এলাকায় আমাদের এক কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। বেশ কয়েকটি টোটো আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এলাকায় নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি সন্ত্রাস করে চলেছে। ঘটনার কথা উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।
যদিও এলাকার বিজেপি নেতা তারক হাওলাদার বলেন, ওইদিন রাতে এলাকার এক যুবক জয় শ্রীরাম ধ্বনি উচ্চারণ করায় তৃণমূলের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। আমাদের কর্মী গৌতম বিশ্বাস ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে তৃণমূলের কর্মীরা ব্যাপক মারধর করে। পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইদিন রাতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় প্রতিটি বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়। প্রায় সারা রাত দলবল নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই তৃণমূল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা বিজেপি করি বলে তৃণমূল আমাদের উপর বার বার হামলা চালায় এবং হুমকি দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে এদিন ওদের উপর চড়াও হয়। আমরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এব্যাপারে গলসি-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২১ জুলাই শহিদ দিবসে যাওয়ার কারণে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মারধর করেছে বিজেপি। বার বার ওরা এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি করছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। নির্বাচনের পর থেকে এলাকায় দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছে ওরা। আমরা তা কিছুতেই হতে দেব না। অভিযুক্ত বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বিজেপির বর্ধমান সদর সংগঠনের সম্পাদক রমন শর্মা বলেন, জয় শ্রীরাম ধ্বনি উচ্চারণ করায় বচসা শুরু হয়। আমাদের একজন কর্মীকে তৃণমূল মারধর করে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকার বাসিন্দারাই ওদের উপর চড়াও হয়েছেন।