কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অন্যবারের থেকে এবার পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। লোকসভা ভোটে এবার তৃণমূল বিজেপির থেকে পিছিয়ে পড়েছে। দু’টি আসনেই তারা পরাজিত। এই অবস্থায় এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর কৌশল নিয়েছিল তৃণমূল। বিভিন্ন জায়গায় মিটিং-মিছিল থেকে শহরে বড় বড় হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কত লোককে জেলা থেকে নিয়ে যেতে পারে তাই দেখার। আসানসোল বাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ মণ্ডল ও মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাস নেওয়ার কোনও আর্জি আসেনি। আশা করছি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে।
এদিকে, সমাবেশে যোগ দিতে পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা থেকে তৃণমূলের ১২হাজার কর্মী-সমর্থক যাচ্ছেন। এলাকার বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ভোর থেকে মোট ১২০টি যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেনে ওই কর্মী-সমর্থকরা কলকাতায় পৌঁছবেন। আমার বিধানসভা এলাকা থেকে ১২হাজার কর্মী-সমর্থক যাচ্ছেন। এদিন দুপুরেই তিনি প্রতিটি অঞ্চল সভাপতিদের সঙ্গে চূড়ান্ত প্রস্তুতির কথা সেরে নেন। রাত ১০টা মধ্যে প্রতিটি অঞ্চলের নিদিষ্ট জায়গায় বাসগুলি পৌঁছে অপেক্ষা করবে। অন্যদিকে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে মন্তেশ্বর বিধানসভা এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয় বিধায়ক সৈকত পাঁজা। তিনি বলেন, গাড়িতে চেপে আজকেই কিছু কর্মী রওনা দিয়েছেন। মন্তেশ্বর ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবপ্রিয় যশ বলেন, এলাকায় প্রচুর কর্মী শহিদ সমাবেশে যোগ দেবেন।
তবে এবার পূর্ব বর্ধমানের চেনা ছবিটা বদলে গিয়েছে। আগে ২১জুলাইয়ের সভার কয়েকদিন আগে থেকেই দক্ষিণ দামোদর হিসেবে পরিচিত রায়না, খণ্ডঘোষ, জামালপুর, মাধবডিহি প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দারা বাস তুলে নেওয়ায় চরম সমস্যায় পড়তেন। বর্ধমান-আরামবাগ রুটের বাসও প্রায় পাওয়া যেত না। কিন্তু, এবার কোথাও বাসের জন্য হাহাকার নেই। সব রুটেই বাস ছুটেছে। বর্ধমান শহরে টাউন সার্ভিস বাসও চলেছে। তবে, রবিবার সব রুটে পর্যাপ্ত বাস থাকবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। জেলা থেকে ভালো সংখ্যক বাস কলকাতা যাবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
লোকসভা ভোটে বিজেপির উত্থান ও কাটমানি নিয়ে আন্দোলনে তৃণমূল অনেকটা কোণঠাসা। বিজেপিও সভায় বাস না দেওয়ার জন্য মালিকদের চাপ সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ। তার উপর মালিকরাও বিনা পয়সায় এখন আর বাস দিতে রাজি হচ্ছেন না। বাস মালিকদের বক্তব্য এবার অন্যান্য বারের তুলনায় চাহিদা অনেকটা কম।
শাসকদলের একাংশের ব্যাখ্যা, বাসে লোক নিয়ে যেতে গড়ে ১৪-১৫হাজার টাকা খরচ হয়। বেশি সংখ্যায় বাস নিয়ে গেলে পরে এনিয়ে বাসিন্দাদের হিসেব চাওয়ার মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই, অনেকেই বাসভাড়া করার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। তবে, বর্ধমান শহরের কিছু নেতা বাসভাড়া করে লোক নিয়ে যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। খণ্ডঘোষের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলাম বলেন, এবার আগেভাগে বাস তোলা হচ্ছে না। তবে খণ্ডঘোষ ব্লক থেকে ৮০টি বাস ও ৫০টি ছোট গাড়ি এবার সমাবেশে যাচ্ছে। বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি ভয় দেখাচ্ছে। মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। তা সত্ত্বেও বর্ধমান-২ ব্লক থেকে ভালো সংখ্যায় লোক নিয়ে যাব আমরা। বর্ধমান-১ ব্লকের সভাপতি কাকলি তা বলেন, বিজেপি আমাদের কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। সমাবেশে গেলে মারধরের হুমকি দিচ্ছে।
জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা শরৎ কোনার বলেন, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার কম সংখ্যক বাস তোলা হয়েছে। দক্ষিণ দামোদর বাস মালিক সমিতির সম্পাদক সুকুর আহমেদ বলেন, সমাবেশে কিছু বাস যাবে। তবে এবার বাসের চাহিদা অনেকটাই কম। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সুনীল গুপ্তা বলেন, তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে। অন্যদলের কর্মসূচিতে বিজেপি কখনও বাধা দেয় না। সমাবেশে লোক হবে না বুঝতে পেরে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।