রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এই প্রথম তৃণমূলের শহিদ স্মরণ সভায় থাকছেন না বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না বলে জানা গিয়েছে। চলতি মাসের ১০তারিখ এসএসকেএম হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। ৮দিন হাসপাতালে থাকার পর ছাড়া পান তিনি। এখন চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি কলকাতার বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন। ১৯৯৮সাল থেকে প্রতিবছর ২১জুলাইয়ের সমাবেশে অংশ নিয়েছেন বীরভূমের এই প্রভাবশালী নেতা। তবে নিজে যেতে না পারলেও ফোনে ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তিনি দলের বাকি নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিশ্রামে থাকলেও সমাবেশ নিয়ে খুঁটিনাটি খোঁজ নিচ্ছেন অনুব্রত। তাঁর অবর্তমানে জেলায় সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ। জেলা থেকে লক্ষাধিক মানুষ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। সেইমতো এদিন সকাল থেকে বাসে, গাড়িতে ও ট্রেনে চেপে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন।
এদিকে বোলপুর স্টেশনের ভিতরে রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্প অফিস করে বিতর্কে জড়ায় শাসকদল। সকাল থেকে স্টেশন চত্বর তৃণমূলের পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়। স্টেশনের ভিতর চেয়ার টেবিল পেতে ক্যাম্প বানিয়ে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দেওয়া তৃণমূল সমর্থকদের ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলার সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ। খবর পেয়ে রেল আধিকারিকরা এসে তাঁদের উঠে যেতে বললেও তাঁরা তা শোনেননি বলে অভিযোগ। স্টেশনের ভিতরই মাইক বাজিয়ে তাঁদের ক্যাম্প চালিয়ে যায় তৃণমূল।
এব্যাপারে বোলপুর স্টেশনের এক আধিকারিক বলেন, পতাকা টাঙানো, মাইক বাজানো ও ক্যাম্প করার কোনওরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। যাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য তাঁদের স্টেশন চত্বর থেকে সরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সেটা শোনেননি। স্টেশনের ভিতরেই বসে থেকে গিয়েছেন।
জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎবাবু বলেন, পুরো রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনে একই কায়দায় ক্যাম্প করা হচ্ছে। সর্বোপরি হাওড়া স্টেশনে আমাদের বিরাট ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখানে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা রয়েছেন। যদি সেখানে কোনও অসুবিধা না হয় তাহলে বোলপুরে কী সমস্যা তা বুঝতে পারিনি। আমাদের দলের কোনও কর্মীর জন্য রেলযাত্রীদের কোনও অসুবিধা হয়নি।
একইভাবে এদিন সিউড়ি ও রামপুরহাট থেকেও তৃণমূল কর্মীরা এদিন কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। রামপুরহাট-১ ব্লক ও শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রামপুরহাট স্টেশনের বাইরে ক্যাম্প করা হয়। সমাবেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়া কর্মীদের ২১জুলাইয়ের ব্যাজ ও পানীয় জল দেওয়া হয়। পাশাপাশি সিউড়ি স্টেশন থেকে বিভিন্ন ট্রেনে তৃণমূলীদের রওনা দিতে দেখা যায়।