বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, অসম্পূর্ণ ও নিম্নমানের বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ তুলে শুক্রবার দুপুরে রামপুরহাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাউসিং ফর অল প্রকল্পের উপভোক্তারা। তাঁদের অভিযোগ, বাড়ির ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে। দেওয়ালেও ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কারও বাড়ি সম্পূর্ণ নির্মাণ হয়নি বলে অভিযোগ। একাধিক অভিযোগে যখন উপভোক্তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সেই সময় কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও ঘটনার সময় পুরসভায় ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকার। তিনি খবর পেয়ে বাড়িতে এসে উপভোক্তাদের টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে বিক্ষোভকারীরা জানান, কাউন্সিলার নয়, টাকা নিয়েছে ঠিকাদার। সেই সময় বাড়িতে বিক্ষোভ দেখানো নিয়ে বিরোধ করলে উপভোক্তাদের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যানের বচসা হয়। পরে পুলিস এসে চার উপভোক্তাকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে সুকান্তবাবুর স্ত্রী তনুশ্রী সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এদিন ধৃত শ্রীকৃষ্ণ হালদার, সুশান্ত মাল, কালু হালদার ও বিনয় দাসকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এদিন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ওই দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। পুলিসের কাজ পুলিস করেছে।
এদিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, ওই চারজন উপভোক্তা তাঁদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হল। পুলিস এব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নিল না। উল্টে উপভোক্তাদের মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হল। এই জেলার পুলিস তৃণমূলের বি টিম হয়ে কাজ করছে। শাসকদলের কথায় তারা ওঠাবসা করছে। এর প্রতিবাদে আগামী সোমবার ১১টা থেকে ১টার মধ্যে জেলার প্রতিটি থানায় গণবিক্ষোভ দেখানো ছাড়াও ডেপুটেশন দেওয়া হবে।
এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ কারও বাড়িতে এসে অসভ্যতা করবে তা বরদাস্ত করা হবে না। কোনও অভিযোগ থাকলে তা নির্দিষ্ট জায়গায় জানানোর প্রক্রিয়া রয়েছে। আইন আইনের পথে চলছে, এবিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।