বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন ডেবরার রাধামোহনপুর স্টেশনের কাছে মাত্র ১০ মিনিটের এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন সংসদ সদস্য দেব। সেখানে ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির তিন কর্মাধ্যক্ষ অলোক আচার্য, বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়, প্রদীপ কর এবং জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ ছাড়া আর কোনও নেতাকে দেখা যায়নি। ডেবরার বিধায়ক সেলিমা খাতুন বিবি, প্রাক্তন বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি ডেবরায় একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও দলের কর্মসূচিতে যাননি। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রতন দে-ও দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেননি।
এদিন দেব ডেবরায় একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের সভায় প্রথমে যোগ দেন। সেখানে গাছ লাগানোর উপর তিনি জোর দেন। তিনি বলেন, বাড়িতে সামান্য জায়গা থাকলেই গাছ লাগান। পরে তিনি নিজেও এদিন বৃক্ষ রোপণ করেন। তাঁকে জেতানোর জন্য সভা থেকে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আপনারা পাশে না থাকলে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হতে পারতাম না।
অন্যদিকে, রাধামোহনপুরের সভায় সংসদ সদস্য বলেন, যে কাজ বাকি থেকে গিয়েছে আগামী পাঁচ বছর সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সেই কাজ করব। পরে তিনি ২১ জুলাইয়ের সমর্থনে মিছিলে কয়েক পা হাঁটেনও। তবে এদিন তাঁকে ঘিরে আগের মতো উন্মাদনা দেখা যায়নি। এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা ছিলেন অলোক আচার্য। তাঁর অনুগামী হাতগুনতি কয়েকজন স্থানীয় নেতা ও কর্মী ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি।
রাধামোহনপুরের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রতন দে। তিনি বলেন, দেব এখন দলের নয়, একজনের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়ে গিয়েছেন। এদিন তিনি ব্যক্তিগত কারও কর্মসূচিতে এসেছিলেন। সেখানে আমাদের যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। জেলা নেতৃত্ব নীরব বলেই এসব চলছে। কিন্তু, আমরা আর বেশিদিন সহ্য করব না। এবার প্রয়োজনে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলব। কারণ, দলনেত্রী যা বলছেন, জেলায় তা মানা হচ্ছে না। বিধায়ক বলেন, এদিন দেবের কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল বলে আমরা জানি না। তাই যাওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই। রাধামোহনপুরে যেটা হয়েছে সেটা কারও ব্যক্তিগত কোনও অনুষ্ঠান হতে পারে।