পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মামা সুবোধ মণ্ডল ও তাঁর দুই ছেলে রাজকুমার মণ্ডল ও রূপকুমার মণ্ডল রানাঘাট থেকে কৃষ্ণনগর যাওয়ার রাস্তার পাশে একটি ধাবা চালাত। ধাবার পাশেই ভাগ্না রবীন্দ্রনাথের চায়ের দোকান রয়েছে। ওই চায়ের দোকানকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল। অভিযোগ, ব্যবসায় সুবিধার জন্য বছর তিনেক আগে ভাগ্নাকে হোটেলের পাশে একটি চায়ের দোকান করতে দিয়েছিল মামা। মৃতের পরিবারের দাবি, রবীন্দ্রনাথের চায়ের দোকানটি ভালো চলছিল। তাই সম্প্রতি সেই চায়ের দোকানটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল মামা। পরে টাকাপয়সা নিয়েও ঝামেলা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ বিননগরের হাট থেকে ফিরলে তাকে ধাবায় ডাকে মামা। সেখানেই দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তারমধ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভাগ্নার পেটে ও হাতে কোপ মারা হয়। রবীন্দ্রনাথ পাঁচিল টপকে পালাতে গিয়ে পড়ে গেলে তাঁর মাথায় কোপ মারা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর সুবোধ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও রাজকুমার ও রূপকুমারকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। মৃতের মেয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী রিম্পা মণ্ডল বলেন, অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই। মৃতের মা সোপান মণ্ডল বলেন, আমার ভাই ও ভাইয়ের ছেলেরা ছেলেকে কুপিয়ে খুন করেছে, তাদের আমি ফাঁসি চাই। পুলিস জানিয়েছে, দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।