পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতনার জোড়হিড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি থেকে ১৩ জন নির্বাচিত করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ড্রেস বানানোর বরাত পায়। ঠিক হয় সেই ড্রেস তৈরির পর যা লভ্যাংশ হবে তা গোষ্ঠীগুলিকে ভাগ করে দেওয়া হবে। কিন্তু, ওই কমিটির সভানেত্রী সেই টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ। সেই টাকার হিসেব চেয়ে এদিন সকালে গোষ্ঠীর মহিলারা পঞ্চায়েতের সামনে জড়ো হন। সেখানে সভানেত্রীর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি হাজির হননি। তাই দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রথমে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে রাস্তা অবরোধ ও পরে পঞ্চায়েতে তালা দিতে যান মহিলারা। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী সঞ্জীব মণ্ডল বাধা দিতে গেলে মহিলারা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন।
সঞ্জীববাবু বলেন, ওরা পঞ্চায়েতে ঢোকার সময় আমি বাধা দিই। সেই সময় ওরা আমাকে মারধর করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তারপর আমাকে ভিতরে ঢুকিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। তালা দিয়ে স্বনির্ভর দলের মহিলারা বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি পঞ্চায়েতের ভবন লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে ছাতনা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে হাজির হয়। এরপর বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিয়ে তালা খুলে পঞ্চায়েতের কর্মীদের উদ্ধার করে।
আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা দীপালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বেশ কয়েকদিন আগে আমরা পঞ্চায়েতে এসে ড্রেসের টেন্ডারের হিসেব দেওয়া ও সভানেত্রীর পদত্যাদের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু, এদিন এসে আমরা হিসেবও পাইনি। আর উনি পদত্যাগও করেননি। পঞ্চায়েত প্রধান বা উপপ্রধানও আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা রাস্তা অবরোধ ও তালা দিয়েছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
তবে ঘটনার বিষয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান ও সভানেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ছাতনার বিডিওরও মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁরও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।