কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, আগামীকাল, রবিবার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে সামনে রেখে তৃণমূলের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার জাগাতিতলা বাজারে জনসংযোগ যাত্রা ও পথসভার আয়োজন করা হয়। জাগাতিতলা ভগবানপুরের বিভীষণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে এবং বিভীষণপুর তৃণমূলের দখলে রয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই দিন সন্ধ্যায় পথসভা চলাকালীন বিজেপির লোকজন আশপাশের এলাকায় বোমাবাজি শুরু করে। খবর পেয়ে এলাকায় আসে ভগবানপুর থানার পুলিস। অভিযোগ, পুলিসের সামনেই বোমাবাজি করতে থাকে। তখনকার মতো পুলিস কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সভা শেষ হওয়ার পর তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা ও পুলিস বাহিনী চলে যায়। রাত ১১টা নাগাদ বিজেপির লোকজন জাগাতিতলা বাজারে চড়াও হয়। স্থানীয় ব্যক্তি প্রশান্ত জানা সহ দু’জনের পানের দোকান, দেবব্রত ভুঁইয়ার বাইকের গ্যারাজ, সুবল জানার সবজি দোকান, অশোক মিশ্রের খাবারের দোকান মিলিয়ে পাঁচটি দোকানে ভাঙচুর চালায়। এছাড়া একটি কাপড়ের দোকান থেকেও জামাকাপড় লুটপাটের চেষ্টা করা হয়। অন্যদিকে, দু’টি পার্টি অফিসে থাকা টিভি, চেয়ার¬-টেবিল ভাঙচুরের পাশাপাশি মাইকসেট ভেঙে নষ্ট করে দেওয়া হয়।
এদিন সকালে ঘটনাটি জানতে পেরে এলাকার তৃণমূল নেতা¬-কর্মী ও দোকানদাররা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপরই পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এলাকার তৃণমূল নেতা তথা ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রণব মাইতি এবং বিভীষণপুর অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি সুখেন রায় বলেন, দোকানদারদের অধিকাংশই তৃণমূলের কর্মী বা সমর্থক। তাই বিজেপি রাজনৈতিক আক্রোশ মেটাতে দোকানগুলির উপর হামলা চালাল। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। ভগবানপুরের তৃণমূল বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বিজেপি এলাকায় ঝামেলা পাকাচ্ছে। আমরা পুলিসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।
যদিও বিজেপির ভগবানপুর উত্তর মণ্ডলের সভাপতি দেবব্রত কর বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে ভগবানপুর-১ বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম। তারপর থেকেই স্থানীয় তৃণমূলীরা রাগে ফুঁসছিল। আসলে এখানে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী রয়েছে। তারই জেরে এই দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ওরা নিজেরাই বোমাবাজিও করেছে। কিন্তু বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। বিজেপি এরকম নোংরা কাজ করে না। ঘটনায় আমাদের লোকজনদের দায়ী করে এদিন তিনজন দলীয় সমর্থকের দোকান ভাঙচুর এবং একজন কর্মীর মারুতি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা পুলিসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।
এগরার এসডিপিও আখতার আলি খান বলেন, বোমাবাজির খবর পাওয়া গিয়েছে। এলাকায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।