কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কয়েক মাস আগে লোকসভা নির্বাচনে যেখানে তৃণমূলকে ১৩টি ওয়ার্ডেই হারের মুখ দেখতে হয়েছিল, সেখানে সমবায় নির্বাচনে এই জয় তৃণমূলকে নতুন করে অক্সিজেন জোগাতে সাহায্য করবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তবে বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য একে রাজনৈতিক নির্বাচন হিসেবে দেখতে নারাজ। তাদের মতে, এটা একটা সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ন ও শিল্পর শ্রীবৃদ্বির সুষ্ঠ পরিচালনার নির্বাচন।
শুক্রবার জয়ী সাত সদস্য ফাল্গুনি ভায়া, ববিতা দাস, ধীরেশ পাল, অমিত গুঁই, কাজল গুঁই, শম্পা দে ও মলয় মণ্ডলকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এদিনই পুরসভার পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান তরণী বাউরি সহ তৃণমূলের কাউন্সিলাররা জয়ী সদস্যদের সংবর্ধনা দেন।
কো-অপারেটিভ সোসাইটি সূত্রে জানা গিয়েছে শহরের ২, ৩, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁতি সম্প্রদায়ের মানুষেরা বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা রেশম শিল্পের সাথে যুক্ত তাঁরা সোসাইটির সদস্য হন। বর্তমানে সোসাইটির মোট সদস্য সংখ্যা ৫৩৩। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সোসাইটি পরিচালনার বোর্ড গঠনের নির্বাচন হয়। এবার ৯টি আসনের জন্য ২০ জন সদস্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সোসাইটির ম্যানেজার সমরেশ পাল বলেন, আর পাঁচটা নির্বাচনের মতো নির্দিষ্ট ব্যালটে ভোট হয়। সেখানে সোসাইটির মোট ৪৫৬ জন সদস্য ওই দিনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার হিসাবে যে সাত জন সদস্য জয়লাভ করেছেন আগামীদিনে তাঁরাই সম্পাদক, সভাপতি, সহকারী সভাপতি নির্বাচন করে বোর্ড পরিচালনা করবেন।
বিষয়টি নিয়ে শহর বিজেপি সভাপতি স্বপ্নেষ দাস বলেন, এটা কোনও রাজনৈতিক নির্বাচন ছিল না। তাই আমরা কোনও প্রচারে নামিনি। আমি যেহেতু তাঁতি সম্প্রদায়ের মানুষ, তাই অনেকের কথায় ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। ভোটে হার জিত থাকবেই।
অন্যদিকে, পুরসভার চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যেখানে ব্যালটে ভোট হবে সেখানেই বিজেপি হারবে। সোসাইটির নির্বাচন কোন পার্টির প্রতীকে হয় না ঠিকই, তবে সমর্থনে হয়। কলেজ, স্কুল নির্বাচনের মতো এটাও একটা নির্বাচন। বিজেপি হেরে গিয়ে ভুল বকছে।