পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
ওই পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে হিজল পঞ্চায়েত এলাকার নতুনগ্রাম নামুপাড়ার কয়েকজন যুবক পঞ্চায়েতে কাজকর্ম সারতে যান। পঞ্চায়েত প্রধান সেইসময় পঞ্চায়েতে হাজির না থাকায় তাঁরা পঞ্চায়েত কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, পঞ্চায়েতে কাজ সারতে আসা বাসিন্দারা ওই পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট পরেশনাথ সাউ এবং পঞ্চায়েত সেক্রেটারি সবনম মুস্তারিকে হেনস্তা করেন। এরপর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ কান্দি থানায় খবর দিলে পুলিস পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পর পঞ্চায়েতের কর্মীরা পঞ্চায়েতের গেটে তালা ঝুলিয়ে কাজকর্ম বন্ধ করে দেন। পরে সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান পৌঁছে ঘটনাটি বিডিওকে জানান।
শুক্রবার পঞ্চায়েত প্রধান কান্দি থানায় চারজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা সকলেই এলাকার নতুনগ্রাম নামুপাড়ার বাসিন্দা এবং সকলেই কংগ্রেস কর্মী বলে পরিচিত। এব্যাপারে পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, নিরাপত্তার দাবিতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য পঞ্চায়েত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত পঞ্চায়েতের তালা খুলবে না এবং অচলাবস্থা কাটবে না।
এদিকে পঞ্চায়েত বন্ধ থাকার কারণে এদিন ওই এলাকার প্রচুর বাসিন্দা কাজ সারতে এসেও হালি হাতে ফিরে গিয়েছেন। অনেকে শংসাপত্র নিতে এসেও তা পাননি বলে অভিযোগ। এলাকার ব্যবসায়ী সামসুদ্দিন শেখ বলেন, আত্মমর্যাদা ঋণের আবেদন করার জন্য আমার ব্যবসার লাইসেন্সের খুবই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত বন্ধ থাকার জন্য পাওয়া গেল না। এদিন প্রায় ৫০জন ছাত্রছাত্রী পরিবারের আয়ের শংসাপত্র নিতে এসে ফিরে গিয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা জানায়, মাইনরিটি স্কলারশিপের জন্য এই শংসাপত্রের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তা না পাওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।