বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন ভোরে গৌরনগর এলাকার রাস্তার ধারে ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে নবদ্বীপ থানার পুলিস দেহটি উদ্ধার করে। এদিকে মৃত যুবকের বাবা জয়নাল শেখ ও তাঁর ভাই সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গিয়ে তাঁরা রঞ্জনের ছবি দেখে দুঃসংবাদটি জানতে পারেন।
মৃতের বাবা জয়নাল শেখ বলেন, ছেলে বেশ কয়েক মাস আগে লরির খালাসির কাজ করত। কাজের সূত্রে মালিকের কাছে দু’হাজার টাকা পেত। ছেলে মালিককে জানিয়ে দু’হাজার টাকা নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে লরির চালক বাবন। এরপর ক্রমাগত রঞ্জনকে ফোন করে হুমকি দিত। লরির মালিক কৃষ্ণনগরের রাধানগরের বাসিন্দা সদা পাল ওই টাকা রঞ্জনের পাওনা বলে জানান। হুমকির কথা মালিককে জানানোয় কাজ চলে যায় বাবনের। কাজ থেকে ছাঁটাই হওয়ায় রঞ্জনের উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাবন। এরপর খুনের ফন্দি আঁটতে থাকে।
কৃষ্ণগরের রথতলার বাসিন্দা মানিক শেখকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে। বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ মানিককে দিয়ে রঞ্জনকে ডেকে পাঠায় বাবন। তারপর ওই রাতেই ভারী কিছু জিনিস দিয়ে রঞ্জনের মুখ থেঁতলে খুন করে। পরে নবদ্বীপের গৌরনগর এলাকায় রাস্তার ধারে রঞ্জনের দেহটি ফেলে পালিয়ে যায়। মৃত যুবকের বাবার আরও অভিযোগ, বাড়ির লোক রঞ্জনের কোনও খোঁজ পেল কি না, তা জানতে এলাকায় বেশ কয়েকবার ঘুরে গিয়েছিল বাবন।
পুলিস জানিয়েছে, খুনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।