গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সালিশি সভায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগ তুলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে বহরমপুর-লালগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রেজাউল করিম ওরফে বাঁটুল সহ আরও দুই অভিযুক্ত এখনও অধরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ জুন প্রতিবেশী দুই ভাই রেজাউল করিম এবং গোলাপ শেখের পৈতৃক সম্পত্তির ভাগবাঁটোয়ারা সংক্রান্ত বিবাদের কারণে সালিশি সভায় হাজির হয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতরভাবে জখম হন ভগবানগোলা নেতাজি মোড় সংলগ্ন মুদিখানার সামগ্রীর ব্যবসায়ী বৃদ্ধ জিল্লার রহমান। পরে ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। চারজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।
ভগবানগোলা আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জিল্লার সাহেবের মৃত্যুর খবর ভগবানগোলায় পৌঁছনোর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষজন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে মৃতদেহ নিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়। পুলিস ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। মৃতের ভাইপো ইকবাল আহমেদ বলেন, ২ জুলাই থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযুক্তরা গ্রামে ঘুরলেও পুলিস তাদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা দেখায়নি। আমরা চাই, বাকি দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হোক।
লালবাগ মহকুমা পুলিস আধিকারিক বরুণ বৈদ্য বলেন, খুনের ঘটনায় চার অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনকে বৃহস্পতিবার রাতে ভগবানগোলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে। তবে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার হয়নি।