রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সুকান্তবাবু ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হলেও থাকেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এদিন সেখানেই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন প্লাকার্ড হাতে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের কারোর অভিযোগ, বাড়ির ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে, দেওয়ালে ফাটলেরও সৃষ্টি হয়েছে। আবার কারোর অসম্পূর্ণ বাড়ি নির্মাণের অভিযেগ। অনেকের অভিযোগ, বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকাও নেওয়া হয়েছে। প্রণতি মণ্ডল নামে এক উপভোক্তা বলেন, অত্যন্ত নিম্নমানের বাড়ি হয়েছে। বাড়ির ভিতরে একটি দেওয়াল নির্মাণের জন্য অতিতিক্ত ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। আরেক উপভোক্তা সান্তা লেটের দাবি, বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁর কাছ থেকে অতিরিক্ত দেড় লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। তার পরও বাড়ির ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে।
কাউন্সিলার নয়, অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে ঠিকাদার। তাহলে কাউন্সিলারের বাড়ি ঘেরাও করলেন কেন?
সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে উপভোক্তারা বলেন, বাড়ি অনুমোদন পেতেই ১২টি ফাঁকা চেকে সই করিয়ে নিয়েছিল পুরসভা নিযুক্ত ঠিকাদার। আমাদের নামে বরাদ্দ অর্থ অথচ আমরাই ব্যবহার করতে পারিনি। এটা কাউন্সিলার জানে না এটা তো হতে পারে না। আমরা সেই টাকা ফেরত চাইতে এসেছি।
অভিযোগ নস্যাৎ করে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমার ওয়ার্ডে প্রায় দুশোর কাছাকাছি বাড়ি নির্মাণ হয়েছে। একটা টাকাও নিয়েছি কেউ বলতে পারবেন না। আর পুরসভা বা কাউন্সিলার ঠিকাদার নিয়োগ করেনি। উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা গিয়েছে। তাঁরা নিজেরাই ঠিকাদার দিয়ে বাড়ি তৈরি করেছেন। আর যদি নিম্নমানের কাজ হয়ে থাকে, তাহলে প্রথমেই তাঁরা কেন অভিযোগ করলেন না? আসলে এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বিজেপি। তারাই উস্কে দিয়ে এসব করাচ্ছে। এতে আমার পরিবারের মানহানি হয়েছে। আমার স্ত্রী থানায় অভিযোগ জানাবে।
এর পাশাপাশি বাড়ি নির্মাণ কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা পুরসভার অস্থায়ী এসএই শান্তনু ঘোষ ও ফাল্গুনী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে ওয়ার্ড ঘুরে উপভোক্তাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন সুকান্তবাবু।
ফাল্গুনী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বেনিফিসিয়ারির অ্যাকাউন্টে পাঁচবারে টাকা দেওয়া হয়েছে। ওঁরাই মিস্ত্রি লাগিয়ে কাজ করেছেন। কাজ যদি ঠিকই না হচ্ছে তাহলে মিস্ত্রিকে টাকা কেন দিলেন । আর অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ আমাদের কেউ জানায়নি। যদি কোনও বাড়ির ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে থাকে, তাহলে তা মেরামতি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
অন্যদিকে পুরসভার চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, আমাদের দলের কোনও কাউন্সিলার বেনিয়মের সঙ্গে যুক্ত নয়। যেহেতু সামনে পুরসভা নির্বাচন, তাই রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য বিজেপি এই মিথ্যাচার করছে।
যদিও বিজেপির শহর সভাপতি নীলকন্ঠ বিশ্বাস বলেন,উপভোক্তা পিছু বাড়ি নির্মাণের জন্য ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু সেই টাকায় যে মানের বাড়ি হওয়া উচিত ছিল সেটা হয়নি। অর্থাৎ গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ অর্থ থেকে কাটমানি নিয়েছেন শাসকদলের নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীও কাটমানি ফেরতের কথা বলেছেন। তাই উপভোক্তারা এখন সেই কাটমানি ফেরতের দাবিতে ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে উপভোক্তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের পাশাপাশি পুলিস ডেকে ধরিয়ে দেওয়া হল। এরই প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নামব।