পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিনিদানা সম্প্রতি জিআই স্বীকৃতিও আদায় করে নিয়েছে। শক্তিগড়ের ল্যাংচারও জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তাই বর্ধমানে একটি মিষ্টিহাব তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো বর্ধমানের বামচাঁদাইপুর এলাকায় একেবারে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে মিষ্টিহাব তৈরি হয়। আসানসোলের একটি অনুষ্ঠান থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মিষ্টিহাবের উদ্বোধন করেছিলেন। সীতাভোগ, মিহিদানা, ল্যাংচা, পান্তুয়া, রসগোল্লা সব ধরণের মিষ্টিরই দোকান ছিল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সব দোকান চালু হয়েছিল। দোতলা মিষ্টিহাবের নীচের তলায় ছিল ১৫টি মিষ্টির দোকান। উপরে ১০টি নোনতা খাবারের দোকান ছিল। উদ্বোধনের পর দিন কয়েক ভালই ভিড় ছিল। কিন্তু, তারপরই ভিড় পাতলা হতে থাকে। ধীরে ধীরে বন্ধ হতে থাকে মিষ্টির দোকানের ঝাঁপও। বর্তমানে একটি মিষ্টির দোকান অনিয়মিতভাবে খোলে। বাকি প্রায় সবই বন্ধ।
কিন্তু, মিষ্টিহাবের এই দশা হল কেন? ব্যবসায়ীদের কথায়, মিষ্টিহাব নিয়ে সেভাবে প্রচার হয়নি। ফলে, অনেকেই জানেন না মিষ্টিহাব কোথায় রয়েছে। কী কী বিশেষ মিষ্টি পাওয়া যায় তাও অনেকে জানেন না। দ্বিতীয়ত, ক্রেতার জন্য দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার যে বাসগুলি কলকাতায় যাতায়াত করে সেগুলি মিষ্টিহাবের সামনে দাঁড় করানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, সেগুলি দাঁড় করানো হয়নি। হাতে গোনা কয়েকটি দাঁড়ালেও সেগুলি আগেই শক্তিগড়ে দাঁড়ানোর পর এখানে দাঁড়াত। ফলে, যাত্রীরা আর মিষ্টি কিনতেন না। তৃতীয়ত, মিষ্টিহাবের সামনে ‘মিষ্টিহাব’ লিখে একটি বড় আলোর বোর্ড লাগাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, ছোট্ট বোর্ড লাগানো হয়েছে। ফলে, সন্ধ্যার পর অনেকেরই চোখে পড়ে না। চতুর্থত, সন্ধ্যার পর মিষ্টিহাব এলাকাটি অন্ধকার হয়ে যায়। তাই একটি হাইমাস্ট আলো দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, তাও লাগানো হয়নি। এভাবেই একাধিক সমস্যা নিয়ে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে মিষ্টিহাব।
এদিনের বৈঠকে জেলাশাসক বিজয় ভারতী, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, বর্ধমানের সীতাভোগ-মিনিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রমোদকুমার সিং, সংগঠনের ট্রেজারার সৌমেন দাস সহ সংগঠনের কর্তা ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। কীভাবে আরও ভাল করে মিষ্টিহাব চালু করা যায় তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে।
মিষ্টি ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে প্রমোদকুমার সিং ও সৌমেন দাস বলেন, ব্যবসার জন্য ক্রেতার প্রয়োজন। তাই প্রচার সহ যা যা দরকার আমরা প্রাশসনকে তা জানিয়েছি। আশা করি, প্রশাসন বিষয়গুলি নিয়ে ভাববে।
জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, প্রচার হয়তো কম হয়েছিল। তবে, এবার প্রচারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এজেন্সিকে দিয়ে প্রচার করানো হবে। পাশাপাশি, প্যাকেজিংয়ের উপরেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। ভালভাবে চালু করার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা সেই বিষয়গুলির উপর জোর দিচ্ছি।