গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত ১৫জুলাই নীচকসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ওয়াশিলচক গ্রামে আটদিন ধরে নিখোঁজ থাকা এক ছাত্রের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত ছাত্রের বাবা এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী। ওই ছাত্রকে পরিকল্পনা করে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেছে পরিবার। ঘটনার খবর পেয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীম মণ্ডল মৃত ছাত্রের বাড়িতে গেলে তাঁকে শারীরিক হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে ওই দিন সন্ধ্যায় বাইক মিছিল বের করে তৃণমূল। সেই সময় স্থানীয় এক দোকানদারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে ১৬তারিখ আলিপুর বাজার বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার রাম মৃধা নামে এক ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি সমর্থক দোকানদারদের বিরুদ্ধে। রাম মৃধা তৃণমূলের বাইক মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বলে দাবি বিজেপি সমর্থকদের। স্থানীয় বোগা গ্রামে তাঁর বাড়ি। গত তিন-চারদিন ধরে নীচকসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোগা, আলিপুর ও সংলগ্ন শ্যামপুর এলাকায় বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে এনিয়ে চাপানউতোর চলছে। এই অবস্থায় বুধবার রাতে বোগা গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজি হয়।
বিজেপি নেতা তাপস দলুইয়ের অভিযোগ, তৃণমূল বাইরে থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতী এনে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করছে। যথেচ্ছ বোমাবাজি করছে। তৃণমূলের হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে বাজার কমিটির লোকজন এখন বিজেপির দিকে চলে এসেছেন। অন্যদিকে তৃণমূলের খেজুরি-২ ব্লক যুব সভাপতি শ্যামল মিশ্র বলেন, বিজেপি রাতভর আলিপুর বাজারে বোমাবাজি করেছে। ওরা সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ঢুকতে চাইছে। কিন্তু, বাম থেকে রাম হওয়া এক সময়ের হার্মাদদের এখানে কোনও ঠাঁই নেই।