কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে ওই ৪০জন ছাত্রী বিদ্যালয়ের সামনে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। কোনও পোস্টার লেখা ছিল, ‘আমাদের ভর্তি নিতে হবে’, আবার কোনও পোস্টারে লেখা, ‘আমাদের স্কুল ছেড়ে যাব না আমরা।’ কোথাও লেখা, ‘আমরা এই স্কুলে ভর্তি হতে না পারলে আমাদের বাবা-মা বিয়ে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে বাধ্য হবে।’ ছাত্রীরা বলে, আমাদের ভর্তি নেওয়ার জন্য এর আগেও বিদ্যালয়ের দিদিমণিদের বহুবার আবেদন করেছি। কিন্তু, তাঁরা আমাদের আবেদনে কোনওরকম গুরুত্ব দেননি। তাই আমরা আজ বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছি। আমাদের আবেদন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব সহকারে আমাদের দাবি বিচার করুক।
ছাত্রীরা বলে, আমরা প্রত্যেকেই এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী। মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরনোর পর তিনমাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। নম্বর কিছুটা কম পেলেও প্রত্যেকেই কৃতকার্য হয়েছি। কিন্তু, বহুবার আবেদন করা সত্ত্বেও আমাদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের ভর্তি না নিলে সমস্যায় পড়ব। ছাত্রীদের আরও দাবি, বিদ্যালয় যদি তাদের ভর্তি না নেয়, তাহলে তাদের কয়েকজনকে পরিবার থেকে বিয়ে দিয়ে দেবে। কিন্তু, তারা পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চায়। মাঝপথে পড়াশুনা বন্ধ করতে চায় না। বেশকিছু সময় গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রীরা। পরে তারা বিক্ষোভ দেখানো হয়।
বিক্ষোভরত ছাত্রীদের মধ্যে রবিনা খাতুন, মামনি বসাক, রীনা সরকারের দাবি, বিগত ছ’বছর ধরে আমরা এই বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছি। ছোট থেকে এই বিদ্যালয়ে আসছি। আমরা অন্য কোনও বিদ্যালয়ে আর যাব না। তাছাড়া, অন্যান্য বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। এখানে যদি ভর্তি না নেওয়া হয়, তাহলে বাড়ি থেকে আমাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পদ্মা বসাক বলেন, এবছর এই বিদ্যালয় থেকে মোট ৪০৬ জন মাধ্যমিক পাস করেছে। আমাদের বিদ্যালয় ২৭৫ জনকে ভর্তি নেওয়ার মতো আসন রয়েছে। এরপরে বোর্ড অব কাউন্সিলের কাছে এবছর আবেদন করা হয়। সেখান থেকে অনুমোদন নিয়ে আরও ৫৫টি আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে চলতি বছরে সবমিলিয়ে মোট ৩৩০ জন ছাত্রীকে ভর্তি করানো যাচ্ছে। তারা ইতিমধ্যে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। এরপর আবারও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বোর্ড অব কাউন্সিলের কাছে আসন বৃদ্ধির জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু, বোর্ড অব কাউন্সিল জানিয়ে দেওয়া হয়, এর থেকে বেশি ছাত্রী ভর্তি করার পরিকাঠামো ওই বিদ্যালয়ের নেই। তাই আর আসন বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া যাবে না। বিদ্যালয় থেকে আর নতুন করে একজনকেও ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয় জানানো হয়।
তিনি বলেন, এরপর আমরা যদি জোর করে ওদের ভর্তি করা হলে সেক্ষেত্রে বোর্ড অনুমোদন দেবে না। ওই ওরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারবে না। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় রয়েছে, চাইলে সেখানে ওরা ভর্তি হতে পারে।