পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে, বুধবার রাতেই পাড়া বিধানসভার বিধায়ক উমাপদ বাউরি জখম ও মৃতদের বাড়িতে যান। বৃহস্পতিবার সকালে নিতুড়িয়ার বিডিও অজয় কুমার সামন্ত ও রঘুনাথপুর-২ ব্লকের বিডিও মৃন্ময় মণ্ডলও মৃতদের বাড়িতে যান। বিধায়ক বলেন, বুধবারের ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। প্রশাসন শোকাহত পরিবারগুলির পাশে রয়েছে। পরিবারগুলিকে সাহায্যের জন্য সবরকম চেষ্টা করব। বিষয়টি নবান্নে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন বিকেলে রঘুনাথপুর এলাকায় হঠাৎ প্রবল বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়। নিতুড়িয়ার হিজুলি গ্রামের মৃতা পূজা রজকের স্বামী টিঙ্কু রজক বলেন, অনেকদিন পর বৃষ্টি হওয়ায় আনন্দে এদিন স্ত্রী ও ভাইপো বাড়ির দরজার সামনে বসে বৃষ্টি পড়া দেখছিল। সেই সময় বাজ পড়লে দু’জনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় শাকতোড়িয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক পূজা ও অয়নকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রতাপপুর গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় হেমব্রম বলেন, মেয়ে গায়েত্রী হাঁসদার শরীর খারাপ থাকায় বুধনী হাঁসদা তাকে নিয়ে নাড়াগোড়িয়া গ্রামে এক হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলেন। মাঝ পথে বৃষ্টি শুরু হলে তারা একটি গাছের নীচে আশ্রয় নেয়। সেই সময় বাজ পড়লে বিপত্তি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা মা ও মেয়েকে স্থানীয় চেলিয়ামা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৌতড় গ্রামের বাসিন্দা তথা মৃতা খেলনি বাউরির ভাইপো পরেশ বাউরি বলেন, ওইদিন জেঠিমা, জগৎ বাউরি সহ অনেকেই মাঠে গোরু চরাতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ বৃষ্টি নামলে পাঁচজন একটি গাছের তলায় আশ্রয় নেয়। সেই সময় বাজ পড়লে জেঠিমা ও জগৎবাবু ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্য তিনজন রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মধ্যম বাউরির প্রতিবেশী মনোজকুমার বাউরি বলেন, মধ্যমবাবু পুকুরে স্নান করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বজ্রপাতে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা অপরজন জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এদিন মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানোর আগে রঘুনাথপুরের মহকুমা শাসক আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর দেহগুলির সুরতহাল করেন। সেখানে মহকুমা পুলিস আধিকারিক দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। মহকুমা শাসক মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।