গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় এবং পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই থানার খোলারপুকুর এলাকার বাসিন্দা জিল্লার রহমান(৬৫) মুদিখানার সামগ্রীর কারবারি ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ভগবানগোলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছিলেন। নেতাজি মোড় সংলগ্ন এলাকায় তাঁর আড়ত ছিল। ৩০জুন খোলারপুকুর গ্রামের দুই ভাইয়ের জমি সংক্রান্ত বিবাদের সালিশি সভায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে হাজির ছিলেন। কিন্তু, সালিশি সভা চলাকালীন দুই ভাই বিবাদে জড়িয়ে পড়ায় ওই বৃদ্ধ ক্ষোভ প্রকাশ করে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অভিযোগ, সেই মুহূর্তে রেজাউল করিম ওরফে বাঁটুল ধারালো অস্ত্র নিয়ে বৃদ্ধের উপর চড়াও হয়। গুরুতরভাবে জখম হন তিনি। স্থানীয় কানাপুকুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই রাতেই কলকাতায় এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১জুলাই সেখান থেকে এসএসকেএমে রেফার করা হয়। ১৬দিন পর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসএসকেএমে জিল্লার রহমান মারা যান। বুধবার রাত ১২টা নাগাদ ভগবানগোলার বাড়িতে মৃতদেহ এসে পৌছনোর পরই গ্রামবাসীরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে সরব হন এবং এদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে প্রায় সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মৃতদেহ রাস্তায় রেখে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
মৃতের ভাইপো ইকবাল আহমেদ বলেন, সম্পত্তি ভাগ নিয়ে ৩০জুন সালিশি সভার সপ্তাহ খানেক আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম ওরফে বাঁটুল এবং ছোট ভাই গোলাপ শেখের মধ্যে ঝামেলা হয়। ৩০জুন গোলাপ শেখের বাড়ির পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় সালিশি সভা ডাকা হয়। কাকা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে হাজির ছিলেন। সালিশি সভা চলাকালীন দুই ভাই বিবাদে জড়িয়ে পড়লে কাকা বিরক্ত হয়ে সভা থেকে উঠে আসেন। কয়েক পা আসতেই রেজাউল ধারালো অস্ত্র নিয়ে কাকার উপর চড়াও হয়। কাকার গলায় কোপ বসিয়ে দিয়ে পাট খেতের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যায়। ২জুলাই রেজাউল করিম, অমিরাফুন্নেসা বিবি, গোলাম শেখ এবং নেগারনেহার বেওয়ার বিরুদ্ধে ভগবানগোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্য বলেন, জিল্লার সাহেব অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শুধু ব্যবসায়ী সমিতির লোকজন নয়, ভগবানগোলার মানুষ শোকাহত। খুনিদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে পথ অবরোধ করা হয়। পুলিস ৭২ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে। ভগবানগোলা থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তরা এলাকায় না থাকায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে।