রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবাস যোজনা, স্বচ্ছ ভারত মিশন ও ১০০দিনের কাজের হিসেব ও উপভোক্তাদের নাম প্রকাশের দাবিতে এদিন গোটা রাজ্যে বিজেপির স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। সেইমতো এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ভরতপুর-২ ব্লক অফিসে স্থানীয় বিজেপির সাতজন কর্মী এবং নেতৃত্ব স্মারকলিপি দিতে আসেন। কিন্তু, ওই প্রতিনিধিরা বিডিওর ঘরে ঢোকার মিনিট দশেকের মধ্যেই সেখানে গণ্ডগোল শুরু হয়।
বিজেপির ব্লক নেতৃত্বের অভিযোগ, বিডিওর ঘরে ঢোকার মিনিট দশেক পরে ওই ঘরের মধ্যেই প্রায় ১০জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে। এরপর বিজেপির কর্মী ও নেতাদের উপর চড়াও হয় ওই দুষ্কৃতীরা। এব্যাপারে বিজেপির ৫৫নম্বর ভরতপুর-২ মণ্ডল সভানেত্রী কাকলি রাজবংশী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিডিও সাহেবের সঙ্গে আলোচনা করছিলাম। হঠাৎই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিডিওর ঘরে ঢুকে আমাদের কর্মীদের জামার কলার ধরে মাটিতে ফেলে মারধর করতে শুরু করে। মহিলা হলেও আমাকেও বাদ দেওয়া হয়নি। পুলিস গোটা ঘটনাটি দাঁড়িয়ে দেখেছে। পুলিস আমাদের বাঁচানোর কোনও চেষ্টা করেনি। আমাদের মারধর করে অফিসের বাইরে রাস্তার মধ্যে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়।
বিজেপির নেতৃত্বের দাবি, স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের হামলায় জখমদের প্রথমে সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ৫৪নম্বর মণ্ডল সভাপতি বকুল মাঝি ও দলীয় কর্মী অমলেন্দু ঘোষ এবং বাসুদেব সাহাকে কাটোয়া রেফার করা হয়েছে। ৫৫নম্বর মণ্ডল সভানেত্রী কাকলি রাজবংশীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে বিজেপির ভরতপুর বিধানসভা পর্যবেক্ষক ইমনকল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল ওখানে গুন্ডারাজ কায়েম করে রাজনীতি শুরু করেছে। এদিনের ঘটনা নিয়ে বিডিও এবং পুলিস সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় ছিল। প্রশাসনিক আধিকারিকের সামনে এই ঘটনা ঘটলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে আমরা দলের রাজ্য কমিটি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে রিপোর্ট পাঠাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বিডিও অফিসের সিসিটিভির ফুটেজ দেখলেই গোটা ঘটনা সামনে চলে আসবে। এই ঘটনায় সালার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় সালার থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে এদিনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন শাসক দলের ব্লক সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন সিজার। তিনি বলেন, এমন ঘটনার কথা আমার জানা নেই। এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে আমি শুনিনি।
এব্যাপারে ভরতপুর-২ ব্লকের বিডিও পরিতোষ মজুমদার বলেন, ঘটনাটি আমার ঘরের মধ্যে কোনও ঘটনা ঘটেনি। যা ঘটেছে ঘরের বাইরে। কিছু অপরিচিত এসব ঘটিয়েছে। ওখানে পর্যাপ্ত পুলিসও ছিল। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি।
এবিষয়ে কান্দির মহকুমা শাসক অভীককুমার দাস বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হবে। তবে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে সংশ্লিষ্ট বিডিওর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা উচিত।