পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এডিসিপি(সেন্ট্রাল) সায়ক দাস বলেন, হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে রোগীর আত্মীয় ও পরিজনরা বিক্ষোভ দেখান। একজন চিকিৎসকে মারধর করা হয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদেরও হেনস্তা করা হয়েছে। চিকিৎসক আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে, রোগীর আত্মীয়রাও একটি অভিযোগ করেছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হীরাপুর থানার ইসমাইল এলাকার কিশোর সোনাই রুইদাস(১৭) ১৬ জুলাই রাতে পীঠে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। প্রথমে সে চিকিৎসক সুপ্রিয় মাইতির অধীনে ভর্তি ছিল। ওই চিকিৎসক ছুটিতে যাওয়ায় চিকিৎসক সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের অধীনে সে ছিল। রোগীর বাবা মুকুল রুইদাসের অভিযোগ, বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছেলে ভালো ছিল। পৌনে ১টা নাগাদ হঠাৎ জানানো হয়, ছেলে মারা গিয়েছে। একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ওই কিশোরের মৃত্যুর খবর পেয়ে পাশেই ইসমাইল এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় করতে থাকে হাসপাতাল চত্বরে। চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগ তুলে হাসপাতালের নতুন বিল্ডিং সুপার স্পেশালিটিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এলাকায় পুলিস থাকলেও বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়। বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুক্ষণ ইমার্জেন্সি রোগীদেরও ভর্তি করা যায়নি। এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালের পুরনো বিল্ডিংয়েও। সেখানে হাসপাতাল সুপার নিখিলচন্দ্র দাসকে মারধরের চেষ্টা হয়। যদিও সেখানকার বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে কোনওক্রমে সেখান থেকে রক্ষা করেন। পরে আসানসোল দক্ষিণ থানা থেকে বিশাল পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসআরএস কাণ্ডের জেরে রাজ্যের সব হাসপাতালের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর কথা বলা হয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলিতে পুলিস মোতায়েন করা হয়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এদিনের ঘটনা ফের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।