বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৮০ শতাংশের উপর কাজ শেষ। বাকি কাজও চটজলদি মিটিয়ে ফেলতে বলেছেন সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু। জেলা পরিষদের এক কর্তা বলেন, রাস্তাগুলি ছোট হলেও অধিকাংশই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। আগে থেকেই সেগুলির তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। টাকা বরাদ্দ হয়ে যাওয়ার পরেই কাজ শুরু হয়ে যায়। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়েছে, এই ১২৫টি রাস্তার পাশে সুবিধা মতো জায়গায় গাছ লাগানো হবে। কোথায় কোথায় গাছ লাগানো সম্ভব, তা খতিয়ে দেখতেও কর্তাদের বলা হয়েছে। এতে রাস্তাগুলিকে যেমন একদিকে সুন্দর দেখাবে, তেমনই গাছ লাগানো হলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তাদেবী বলেন, রাস্তার কাজ জোর গতিতেই চলছে। তাও কিছু জায়গায় এখনও কাজ বাকি। যত দ্রুত সম্ভব কাজ মিটিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। আমরা চাইছি, বর্ষা পুরোপুরি ঢোকার আগেই কাজটা যাতে শেষ হয়ে যায়। পাশাপাশি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই ১২৫টি রাস্তার ধারেই গাছ লাগানো হবে। কোথায় কোথায়, সেটা করা যায়, তা আমরা দেখছি। খুব তাড়াতাড়িই এই কাজ শুরু হয়ে যাবে। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ চঞ্চল দেবনাথ বলেন, রাস্তার কাজ জোরকদমেই চলছে। কাজ খুব বেশি বাকি নেই বললেই চলে। তাও যেটুকু বাকি রয়েছে, যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা শেষ করার চেষ্টা করছি।
নদীয়া জেলার এমন রাস্তা পাকা করা ও সংস্কারের জন্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর থেকে প্রায় সাড়ে ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চলতি বছরেই এইসব রাস্তার কাজ শুরুর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর জেলা পরিষদ জেলার এইসব রাস্তাগুলি পাকা করার জন্য টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া শুরু করে। জেলা পরিষদের এক কর্তা বলেন, জেলার বিভিন্ন এলাকায় এইসব রাস্তাগুলি পাকা করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিল। কারণ, বহু রাস্তা বেহাল অবস্থায় ছিল। সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে গিয়ে নানাভাবে সমস্যায় পড়ছিলেন। রাস্তাগুলি হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবেন। জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের এক কর্তা বলেন, রাস্তা মেরামতির কাজ প্রায় সম্পূর্ণই বলা চলে। যেটুকু বাকি, তাড়াতাড়িই শেষ করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে ওই সব রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। অভিযোগ, জেলা পরিষদের এই রাস্তায় কয়েকবছর মোরাম ফেলে মেরামতি করা ছাড়া সেভাবে সংস্কারের কাজ হয়নি। আর এখন রাস্তা ক্রমশ সঙ্কীর্ণ হয়ে যাওয়ায় যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়। অবশেষে সেই রাস্তা সংস্কার হওয়ায় খুশি সকলেই।
যে ১২৫টি রাস্তা সংস্কার হবে তারমধ্যে রয়েছে, চাকদা ব্লকের শিমুরালি থেকে মনসাপোতা পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা, হরিণঘাটার খলসি থেকে দেড় কিলোমিটার রাস্তা, কালীগঞ্জের জুরানপুর থেকে জগৎখালি পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা, কৃষ্ণগঞ্জের দাসপাড়া-পীরতলা থেকে কারিকর পাড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা, কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের বাহাদুরপুর রেলগেট থেকে কৃষ্ণনগর ভাঙা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা। ওই কর্তারা বলেন, খুব কম রাস্তা মনে হলেও এগুলি সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিন ছিল। এই টাকাটা পাওয়ায় গিয়েছে মূলত রাস্তা সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। রাস্তা হলে এলাকার বাসিন্দাদের অনেক সুবিধা হবে।