বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম শহরের বিদ্যাসাগরপল্লি এলাকার ৩০একর সরকারি জমিতে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর টাকা বরাদ্দ করে কাজও শুরু হয়েছে। অথচ বন দপ্তরের গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী, মেডিক্যাল কলেজের জন্য প্রস্তাবিত জমিটি সংরক্ষিত বনভূমি। গত ২৩ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে মেডিক্যাল কলেজটির স্থান পরিবর্তনের দাবি জানান সুভাষবাবু। তিনি বলেন, এভাবে বনভূমির শ্রেণী, চরিত্র বদলানো যায় না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি। ঝাড়গ্রামে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্তু যে জমিতে মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে, সেটি বনভূমি। তাই প্রকল্পটি অন্যত্র স্থানান্তরিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এবার হাইকোর্টের গ্রিন ট্রাইবুনালে মামলা করব।
সুভাষবাবুর অভিযোগ, ভারতী ঘোষ পুলিস সুপার থাকাকালীন কদমকানন থেকে ডিয়ারপার্ক যাওয়ার রাস্তার ধারে বনভূমি দখল করে এসপি অফিস ও পুলিস লাইন তৈরির কাজ শুরু হয়। এজন্য ওই এলাকার কয়েক হাজার শালগাছ কেটে ফেলে হয়। এছাড়াও রাস্তার অপর প্রান্তের বনভূমির শালগাছ কেটে দিয়ে পুলিস আধিকারিকদের আবাসন তৈরি হচ্ছে। এনিয়ে আদালতে জনস্বার্থে মামলা করব। তিনি বলেন, ঝাড়গ্রাম শহরটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকার মধ্যে রয়েছে। সরকারি স্তরে এভাবে পরিবেশ ধ্বংস করে কীভাবে নির্মাণকাজগুলি হল, তা বুঝতে পারছি না। এদিন তিনি ঝাড়গ্রামের ডিএফওর সঙ্গেও দেখা করেন।