বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
এদিনের কর্মী সম্মেলনে কাঁথি লোকসভার সদস্য শিশির অধিকারী, খেজুরির বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মধুরিমা মণ্ডল, পার্থপ্রতিম দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, খেজুরি-২ ব্লকের দলের সভাপতি লুৎফর রহমান খানের বয়স হয়েছে। তাঁকে আমরা জেলায় নিয়ে যাব। খেজুরি-১ এবং ২ ব্লকে সাংগঠনিক রদবদল করা হবে। নতুন ব্লক কমিটি গঠন করা হবে। নীচকসবা, হলুদবাড়ি এবং জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতে সভাপতি পরিবর্তন করা হবে। যেসব বুথে সভাপতি নিষ্ক্রিয় সেখানে নতুনদের আনা হবে। যেসকল সঞ্চালক গত ৬-৮মাস ধরে পঞ্চায়েত অফিসে যাননি, ১০০দিনের কাজের জবকার্ড বেশি করে দিতে পারেননি এবং সার্বিক পারফরম্যান্স খারাপ তাঁদের সঞ্চালকের দায়িত্ব থেকে সরানো হবে। প্রধান এবং উপপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে জনমুখী, গতিশীল, কর্মদ্যোগী ও স্বচ্ছ প্রশাসন ও রাজনৈতিক সংগঠন তুলে দেব। সেই সংকল্প নিয়েই এখানে সভা করতে এসেছি।
তিনি বলেন, খেজুরিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পিছনে আমারও ভূমিকা আছে। ২০১০সালে ২৪নভেম্বর আমি যদি সেদিন ৩০০বন্দুকবাজের সামনে মৃত্যুভয়কে পরোয়া না করে রুখে দাঁড়াতাম তাহলে আজ এখানে বিজেপি পদ্মফুট ফোটাতেই পারত না। আমার সঙ্গে মাটির সম্পর্ক। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। গ্রিভান্স সেল, টোল-ফ্রি নম্বর চালু করেছেন। ওই নম্বর ছাপিয়ে আমরা সর্বত্র ছড়িয়ে দেব। দিদি দু’টো চিঠি পাঠিয়েছেন। একটা ভোটারদের জন্য এবং অন্যটি কর্মীদের জন্য। সেগুলি জেরক্স করে বিলি করে দিতে হবে।
এদিনের সভায় শুভেন্দুবাবু বলেন, বিজেপি সর্বভারতীয় স্তরে জিতেছে। এরাজ্যে একনম্বরে আছি আমরাই। ২০১৪সালে আমাদের ৩৯শতাংশ ভোট ছিল। এবার লোকসভায় তা বেড়ে হয়েছে ৪৩শতাংশ। ২৯৪টি বিধানসভার মধ্যে ১৬৪টিতে এগিয়ে আমরাই। লোকসভায় ২২টি আসনে আমরা জয়ী হয়েছি। এরাজ্যে এক নম্বরে আমরাই। তিনি আরও বলেন, বিজেপি এখানে একজন মহিলা ওসিকে ফুটবলের মতো কিক মেরেছে। মনে করলে সাত দিনের মধ্যে সোজা করে দিতে পারতাম। বেশিক্ষণ সময় লাগত ন। এখানে সব দলের অফিস খোলা থাকবে। সব দল কর্মসূচি নেবে। সব দলের কথা মানুষ শুনবেন। কিন্তু, একটা গ্রহণ করবেন। বাকিগুলি বর্জন করবেন। কেউ ঘরছাড়া হবেন না।
শুভেন্দু আরও বলেন, উপভোক্তাদের সরকারি পরিষেবা দেওয়ার সময় যাতে মধ্যসত্ত্বভোগীদের কোনও সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য টোল-ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে। নবান্নে গ্রিভান্স সেল খোলা হয়েছে। হাজারে হাজারে অভিযোগ আসছে। যেসব পঞ্চায়েত নিয়ে অভিযোগ আসছে সেখানে স্পেশাল অডিট করানো হচ্ছে। তবে, মাস পিটিশন মোটেও বিজেপি-র কথায় নয়। জনগণ অভিযোগ করলে তবেই স্পেশাল অডিট হবে। তাতে বিচ্যুতি ধরা পড়লে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী ২১জুলাই ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্লক ও অঞ্চল নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এবার আমাদের স্লোগান ইভিএম নয়, ব্যালট চাই।
খেজুরির কণ্ঠিবাড়িতে বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডলকে ঘেরাও করে নিজেদের শক্তিবৃদ্ধির বার্তা দিয়েছিল বিজেপি। সংলগ্ন এলাকায় সিপিএমের লোকজন বিজেপির পতাকা ধরে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। এপ্রসঙ্গে রবিবার শুভেন্দুবাবু বলেন, শুধু কণ্ঠিবাড়ি নিয়ে খেজুরি নয়। কণ্ঠিবাড়ির মতো ২৫০টি বুথ আছে খেজুরিতে। সিপিএমের অত্যাচারীরা জানে, লাল পতাকা নিয়ে কিছু করতে পারবে না। তাই তারা বিজেপির পতাকা লুট করেছে। আমরা সবটাই নিয়ন্ত্রণ করে দিয়েছি। এখানকার মানুষের আস্থা আমাদের উপর রয়েছে।
এদিন বিকেলে এগরায় অস্তিচকে ২১জুলাইয়ের প্রস্তুতি এবং বিজেপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কর্মিসভায় শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, জ্যোতির্ময় কর, জেলা পরিষদ সদস্য নন্দ মাইতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।