বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের বিএলএলআরও অফিসে এদিন জায়গা জমি সংক্রান্ত বিবাদের শুনানি ছিল। বহু মানুষের সমাগম হয়েছিল। একইদিনে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের ভিডিও কনফারেন্স থাকায় বিএলএলআরও মৃত্যুঞ্জয় দত্ত স্থানীয় বিডিও অফিসে যান। বিকেল চারটে নাগাদ তিনি কনফারেন্স সেরে অফিসে ফেরেন। এরপরই স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ বসির খান তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। সেইসঙ্গে মারধরের হুমকি ও অফিস থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বলেও অভিযোগ। শাসকদলের নেতার দাদাগিরিতে ভয়ে সিঁটিয়ে যান দপ্তরের কর্মীরা। হুমকির জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএলএলআরও। দপ্তরের কর্মীরা তাঁকে মল্লারপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। বিকেলে তাঁকে দেখতে যান রামপুরহাট মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুব্রত সরকার। তিনি বলেন, বিএলএলআরও হার্টের রোগী। হেনস্তার জেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেওয়ায় তিনি অচৈতন্য অবস্থায় রয়েছেন। তিনি বলেন, ভিডিও কনফারেন্স থাকায় বিডিও অফিসে বিএলএলআরও এবং রেভিনিউ অফিসাররা গিয়েছিলেন। বিএলএলআরও কনফারেন্সে থাকায় কর্মাধ্যক্ষের ফোন ধরতে পারেননি। বিকেলের দিকে ওই কর্মাধ্যক্ষ অফিসে এসে তাঁকে গালিগালাজের পাশাপাশি অফিসে নানাভাবে হুমকি ও অফিসে তালা মেরে দেওয়ার কথা বলেন। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানানো হবে।
এদিকে গালিগালাজ ও হুমকির কথা অস্বীকার করে কর্মাধ্যক্ষ বলেন, এই বিএলএলআরও টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না। এদিন তিনি অফিসে থাকবেন না সেটা নোটিস দিয়ে জানাতে পারতেন। সাধারণ গরিব মানুষদের তাহলে সকাল থেকে অফিস চত্বরে না খেয়ে বসে থাকতে হতো না। তিনি আমার ফোন ধরেননি। তাই আমি অন্যায় করলে বরদাস্ত করব না বলে জানিয়েছি। আমি গালাগালি দিইনি।
এব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বনানী রায় বলেন, ঘটনা ঘটেছে বিএলএলআরও অফিসে। ফলে ঘটনার বিস্তারিত না জেনে কোন মন্তব্য করব না। অন্যদিকে, এলাকার বিধায়ক তথা তৃণমূলের ময়ূরেশ্বর-১ ব্লক সভাপতি অভিজিৎ রায় বলেন, আমি বিধানসভায় রয়েছি। এলাকায় ফিরে খোঁজখবর নিয়ে দলের পক্ষ থেকে ওই কর্মাধ্যক্ষর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।