সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: রঘুনাথপুর পুরসভার বিরুদ্ধে কাটমানি ইস্যুতে পোস্টার সাঁটানোর ঘটনায় তদন্ত চেয়ে বৃহস্পতিবার তৃণমূল ও সিপিএমের কাউন্সিলারদের একাংশ মহকুমা শাসকের অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। তবে স্মারকলিপি প্রদানে বিজেপির একমাত্র কাউন্সিলার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন না। পুরসভার চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, স্মারকলিপি প্রদানের বিষয়টি সকলের জানা। এনিয়ে কারও কোনও দ্বিমত নেই। যেহেতু অভিযোগটি পুরসভার দিকে উঠেছে, তাই এটা সবার বিরুদ্ধে অপবাদ। সেই মিথ্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেই সব কাউন্সিলাররা এগিয়ে এসেছেন।
এবিষয়ে বিজেপি কাউন্সিলার বলেন, আমার মনে হয়, এদিন যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে সেটা প্রকৃতপক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে। সত্যি মিথ্যার তদন্ত করার জন্য তো দপ্তর রয়েছে। তাই কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা তা তদন্ত বলবে। তাই মহকুমা শাসকের অফিসে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম গেলেও আমি যাইনি।
বিষয়টি নিয়ে সিপিএম কাউন্সিলার তথা বিরোধী দলনেতা প্রদীপ দাস বলেন, যেহেতু পুরসভার বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছিল তার জন্য সবাই গিয়েছিলাম। তবে আমরাও চাই, পোস্টারের বিষয়ে সত্য মিথ্যা যা আছে তার তদন্ত হোক।
এদিন পুরসভার ১৩জন কাউন্সিলার মধ্যে তৃণমূলের সাতজন ও সিপিএমের দু’জন কাউন্সিলার মহকুমা শাসকের অফিসে যান। সেখানে মহকুমা শাসক না থাকায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুদেষ্ণা দে মৈত্রর হাতে তাঁরা স্মারকলিপি তুলে দেন। চেয়ারম্যান বলেন, বিশেষ কাজ থাকার জন্য তৃণমূলের দু’জন ও সিপিএম, বিজেপির মোট দু’জন কাউন্সিলার আসতে পারেননি। সম্প্রতি কাটমানির বিষয় তুলে বিজেপির নাম করে শহরের বুকে কেউ বা কারা বিভিন্ন দেওয়ালে পোস্টার ও লিফলেট সাঁটিয়ে দেয়। সেখানে জল প্রকল্প, বাড়ি তৈরি, গ্রিন সিটির মতো প্রকল্প থেকে কাটমানি আদায়ের অভিযোগে তোলা হয়। অভিযোগের সমস্ত বিষয় মিথ্যা এবং এটা পুরসভাকে একটা বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত। তাই পুরসভার বিরুদ্ধে যে বা যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। মহকুমা প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।