বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর শহরের ৩৪জাতীয় সড়কের পাশে পঞ্চাননতলা এলাকায় একটি হোটেলে কয়েক বছর ধরে কাজ করতেন নাজমুল। মাসখানেক আগে ওই হোটেলের কাজ ছেড়ে দিয়ে নতুন করে ওই এলাকাতেই অন্য একটি হোটেলে কাজে যোগ দেন তিনি। এরপর কাজে যোগ দেওয়া নতুন হোটেলটি বন্ধ হয়ে যেতে বসে। সেইসময় হোটেল মালিক নাজমুলকে যৌথভাবে হোটেলের ব্যবসা করার প্রস্তাব দেয়। মৃতের স্ত্রী জাহানারা বিবি বলেন, হোটেল বন্ধ হয়ে যেতে বসায় স্বামীর কাজ হারানোর আশঙ্কায় আমি বিভিন্ন পরিজনের থেকে এক লক্ষ টাকা জোগাড় করে আনি। সেই টাকা দিয়ে নতুন করে যৌথভাবে হোটেল ব্যবসা শুরু হয়। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে হোটেল মালিক ফিরোজ শেখের সঙ্গে স্বামীর লাভের টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা চলছিল। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় দশটা নাগাদ শেষবারের জন্য স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। বাড়ি ফেরার ব্যাপারে বলতেই ফোনে আমাকে ফিরোজের সঙ্গে গণ্ডগোলের কথা বলেছিল। এমনকী বাড়ি ফিরতে দেরি হবে বলেও জানিয়েছিল। পরে রাত প্রায় আড়াইটা নাগাদ হঠাৎই বাড়ির ফোনে কল আসে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলা হয়। সেখানেই ভর্তি রয়েছে স্বামী। ওই রাতেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে আসি। হোটেলের অন্য দুই কর্মী গুরুতর জখম অবস্থায় স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমরা আসামাত্রই ওরা কোনও কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়।
মৃতের ভাই মিরাজুল শেখ বলেন, এর আগেও ওই হোটেল মালিক দাদাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। দাদার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জামা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। ভারী কিছু দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করার ফলে দাদার মৃত্যু হয়েছে। এরপর হোটেলের দুই কর্মী হাসপাতলে দাদাকে রেখে চলে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে দাদার মৃত্যু হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পলাতক অভিযুক্ত হোটেল মালিক ফিরোজ শেখ। তার খোঁজ চলছে। এদিন বিকেলে মৃত নাজমুলের দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।