বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা পুরসভার স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন বিভাগের সিআইসি শেখ আজিজুল রহমান বলেন, আমার ওয়ার্ডে বেশকিছু বস্তি এলাকা রয়েছে। ওইসব এলাকার সকলকে একসঙ্গে সরকারি পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে সকলকে একসঙ্গে খুশি করতে পারিনি। তারজন্যই বাসিন্দাদের একাংশ আমার বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়েছেন। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে। তবে পোস্টারে লেখা আমার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা। আমি কোনও সরকারি প্রকল্পে স্বজনপোষণ করিনি। কাটমানি নেওয়ারও কোনও প্রশ্ন ওঠে না। আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তা জানেন।
উল্লেখ্য, আজিজুল সাহেব ২০১৫ সালের পুর নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়লাভ করেন। তারপর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে বাঁকুড়া পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড রয়েছে। শাসক দলে যোগ দেওয়ার ‘পুরস্কার’ স্বরূপ তিনি পুরসভার সিআইসি পদ পান।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া শহরের ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৩টি ওয়ার্ডে বিজেপি লিড পায়। একমাত্র সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে। বাঁকুড়া পুরসভা এলাকায় দলের শোচনীয় পরাজয়ের পিছনে কাউন্সিলারদের একাংশের আচরণ এবং কাজকর্ম দায়ী বলে অভিযোগ। সম্প্রতি তৃণমূলের একাধিক বৈঠকে কাউন্সিলারদের ভূমিকা নিয়ে দলের কর্মীরা সরব হয়েছেন। কাউন্সিলারদের একাংশ কাটমানি ছাড়া কোনও কাজ করেন না বলে অভিযোগ। কয়েকজন মহিলা কাউন্সিলারের স্বামী এলাকায় কার্যত ‘রাহাজানি’ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের ‘নজরানা’ না দিয়ে ওয়ার্ডে বাড়িঘর নির্মাণ করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। সামান্য সীমানা প্রাচীরের জন্যও বাসিন্দাদের টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের সিন্ডিকেট রাজের দাপটে ওয়ার্ডের বাসিন্দারা কার্যত অতিষ্ঠ হয়ে তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে নিচুতলার দলীয় কর্মীদের অভিযোগ। বিষয়টি অবিলম্বে দলীয় নেতৃত্বের দেখা প্রয়োজন বলে তাঁরা মনে করেন।