বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার পাবলিক হেলথ অ্যান্ড নার্সিং অফিসার বন্দনা পাল বলেন, গোটা রাজ্যের সঙ্গে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলাতেও শিশুদেরকে রোটা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেইমতো কিছুদিন আগে রাজ্যস্তরে প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়। এদিন জেলাস্তরে একই কর্মসূচি হয়েছে। দপ্তরের ব্লকস্তরের সমস্ত আধিকারিকদেরকে এদিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে ব্লকস্তরেও এরকম কর্মসূচি হবে। তারপর প্রতিটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা প্রদান শুরু হবে। তার আগে বিষয়টি সম্পর্কে এলাকায় এলাকায় কিছু সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হবে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রোটা ডায়ারিয়ার লক্ষণ আর পাঁচটা সাধারণ ডায়ারিয়ার মতোই। রোটা ভাইরাসের আক্রমণে ওই রোগ হয়। এই রোগেও পেট খারাপ, বমি ও জলশূন্যতা সহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা যায়। তাই দুই রোগের ফারাক সবসময় বোঝা সম্ভব হয় না। সেই কারণে অনেক সময় অবহেলার কারণে তা প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি এদেশে রোটা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এরাজ্যের সঙ্গে বিষ্ণুপুরেও তা দেওয়া হবে। তবে, তা অন্যান্য অনেক ভ্যাকসিনের মতো পৃথকভাবে নয়। সাধারণ টিকাকরণ কর্মসূচির মধ্যেই ওই টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। শিশুর জন্মের পর ৬, ১০ ও ১৪তম সপ্তাহে অন্যান্য টিকার পাশাপাশি রোটা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে। তাই শিশুদেরকে পৃথকভাবে ওই টিকা দেওয়ার জন্য উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসার প্রয়োজন নেই। পোলিওর মতো ওই টিকা শিশুদেরকে মুখে খাওয়ানো হবে। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলায় মোট ১৫৬টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। সেখান থেকেই শিশুদেরকে ওই টিকা দেওয়া হবে। গোটা প্রক্রিয়াটি কীভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে এদিন দপ্তরের পক্ষ থেকে জেলাস্তরে প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়। আগামী দিনে ব্লক ও পঞ্চায়েতস্তরেও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে এরকম কর্মশালা হবে।