বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে অপূর্ববাবুকে কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে বহরমপুর পুরসভার প্রশাসকও নিযুক্ত করে রাজ্য সরকার। বহরমপুর কেন্দ্রের লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় তিনি ওই দু’টি পদের দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফলাফল পরবর্তীতে তাঁকে বহরমপুর পুরসভার প্রশাসক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা হয়। যদিও তার আগে থেকেই তিনি কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। সেসময় অপূর্ববাবু বলেছিলেন, দু’টি পদ সামলানো এমন কিছু কঠিন কাজ নয়। কারণ পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পদ সামলানোর জন্য প্রতিদিন অফিস যাতায়াত করতে হয় না। তাছাড়া কান্দি পুরসভার কোনও কাজ তিনি ফেলে রাখেন না। প্রয়োজনে রাত জেগেও ফাইলপত্র সেরে ফেলেন।
এদিকে বুধবার অপূর্ববাবুকে জেলার আরও দু’টি পদে মনোনীত করা হয়েছে। তা হল জেলা আইসিডিএস চেয়ারম্যান এবং জেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের স্পেশাল অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা আইসিডিএস চেয়ারম্যানের কাজ হল প্রধানত নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপার তত্ত্বাবধান করা। জেলায় অধিকাংশ ব্লকে আইনি জটিলতা এবং আদালতে মামলা চলার কারণে এই দপ্তরে প্রচুর শূন্যপদ থাকলেও তা পূরণ করা যাচ্ছে না। এবিষয়ে অপূর্ববাবু বলেন, আমার প্রথম লক্ষ্য হল আইনি জটিলতা কাটিয়ে আইসিডিএস সেন্টারে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতার অধিকারী সংশ্লিষ্ট ব্লক। আমি চেষ্টা করব যাতে নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন হয়।
এদিকে অপূর্ববাবু একসঙ্গে এতগুলি পদ কীভাবে সামলাবেন তা নিয়ে এলাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অপূর্ববাবু কান্দি মহকুমা এলাকা ছাড়াও গোটা জেলার মধ্যেও তৃণমূলের পরিচিত মুখ। সেকারণে তিনি ওই পদ সামলানোর সঙ্গে দলের জন্য কতটা সময় দিতে পারবেন তা নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এমনকী তৃণমূলের অনেক কর্মী বলছেন, ভোটে হেরেও অপূর্ববাবু একের পর এক পদ পেয়ে যাচ্ছেন। তিনি সব পদ একসঙ্গে সামলাতে পারবেন বলে মনে হয় না। তাছাড়া দলের জন্যও তো কাজ করতে হবে।
এবিষয়ে কান্দি মহকুমা তৃণমূল সভাপতি গৌতম রায় বলেন, অপূর্ববাবুর নতুন পদ মেলায় আমরা খুশি। এতে দলের কাজ করার জন্য কোনও সমস্যা হবে না। অপূর্ববাবু দলের জন্য দিনরাত সময় দেন। ঘটনায় জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, অপূর্ববাবুর নতুন পদ পাওয়ার ব্যাপারে আমি কোনও কিছু বলতে চাই না। এটা দলের ব্যাপার, দল ভালো বুঝেছে। জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী যা করবেন সেটাই আমরা মেনে নেব।
তবে কান্দির বিধায়ক কংগ্রেসের সফিউল আলম খান বলেন, অপূর্ববাবুকে দেওয়া পদগুলি কাজ করার জন্য নয়। অন্য উদ্দেশ্য আছে। তাই এনিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করতে চাই না। এতে ওদের দলের ক্ষতি হবে। সেটা ওরাই বুঝবে।
যদিও এবিষয়ে অপূর্ববাবু বলেন, আমি বহরমপুরের সংসদ সদস্যের মতো ১৯৮০সাল থেকে কাটমানি নিয়ে আসছি না। আমি কোথাও কোনদিন কাটমানির সঙ্গে যুক্ত নই। দল ভালো বুঝেছে বলেই আমাকে এতগুলি পদে রেখেছে। আমি সময় দিতে পারব বলেই আমাকে নতুন করে ফের দু’টি দায়িত্ব দেওয়া হল। এতে সমস্যা কিছু হবে না। কারণ পদগুলির জন্য আমাকে প্রতিদিন অফিস যেতে হবে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কমিটি কাজগুলি করবে। আমাকে দেখাশোনা করতে হবে। দলের জন্যও আগের মতো সময় দেব। আমি সংসার ধর্ম পালন করিনি। এলাকার মানুষজন আমার সংসারের সদস্য। তাঁদের ভালোমন্দের দায় আমার। আমি কিছু পেতে আসিনি, আমি দিতে এসেছি।