বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ঘাটে দীর্ঘদিনের একটি স্ট্যান্ড রয়েছে। সেখানে বাস ট্রেকার থেকে শুরু করে অটো এবং টোটো সবই দাঁড়ায়। অভিযোগ, টোটো চালকরা ওই স্ট্যান্ডে কোনও অটো দাঁড়াতে দেয় না। তাই ওই স্ট্যান্ড থেকে খানিকটা দূরে অটো দাঁড়ায়। এদিকে অটো চালকদের অভিযোগ, ঘাট থেকে বের হলেই সামনে আগে স্ট্যান্ড থাকে, সেখান থেকেই মানুষ গাড়ি ধরে নেয়। অটো পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক যাত্রী আসে। আগেও এই বিষয় গণ্ডগোল হয়। ইউনিয়ন লিডাররা দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। শুধু তাই নয়, অটো নিয়ে শহরের অন্য রুটে রিজার্ভে গেলেও টোটোচালকদের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে। অটোচালকরা বলেন, আমরা সংখ্যায় কম। আর টোটোচালকরা সংখ্যায় অনেক বেশি। তাই ওদের সঙ্গে আমরা পেরে উঠি না।
এদিন সকালে এক অটোচালক স্ট্যান্ডে অটো দাঁড় করালে টোটো চালকরা অটো সরিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। না সরালে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই অটো চালকরা ক্ষুব্ধ হয়ে শান্তিপুরের বকুলতলা এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে। প্রায় আধ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ চলে। পরে পুলিসি আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে। যদিও মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছে টোটো চালকরা। শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ঘাট থেকে স্টেশন পর্যন্ত এই রুটে রয়েছে মোট ৩০টি অটো। অটোচালক সুখেন হাজারি, আলিম শেখ বলেন, আমাদের পারমিট থাকা সত্ত্বেও আমাদের ওখানে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। এর আগে আমরা পরিবহণ দপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। আইএনটিটিইউসির টোটো ও অটো ইউনিয়নের নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, সমস্যাটা নিয়ে অনেকবার আলোচনায় বসা হয়েছে। সবাইকেই আইন মেনে চলতে হবে। মারধর করা কখনই ঠিক নয়। যদিও বুধবার বিকেল পর্যন্ত এই বিষয় কোনও পক্ষই শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।