কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মামলা তোলার পর মিঠুদেবী বলেন, মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মামলা তুলে নিলাম। তাছাড়া, আমাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল তাও মিটে গিয়েছে। স্বামীর সঙ্গে এখন সুখে সংসার করতে চাই। ১ বছর আগে আদালত থেকে আমাদের দু’জনের মধ্যে আইনি বিচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু, স্বামীকে মন থেকে মুছে দিতে পারিনি। তাই, প্রস্তাব আসতেই মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে সংসার করার কথায় সম্মতি দিই। উকিলবাবু আমাদের দু’জনকে অনেক বুঝিয়েছেন। এখন থেকে শুধু সংসার নিয়ে ভাবতে চাই। তাঁর স্বামী হীরেন্দু দাস বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছিল। তা থেকেই আইনি বিচ্ছেদ। মেয়ে খোরপোশ চেয়ে মামলা করেছিল। এটা মেনে নিতে পারিনি। আমারই মেয়েকে আদালতের রায়ে টাকা দিতে হবে এটা ভাবতে পারিনি। মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই। ফের বিয়ে করে আমরা দু’জনে মেয়েকে নিয়ে সংসার করব।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তিগড় থানার পুতুণ্ডা গ্রামের হীরেন্দুবাবুর সঙ্গে বছর আটেক আগে খণ্ডঘোষ থানার সাঁকো গ্রামের মিঠুদেবীর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি ৫ বছরের মেয়ে আছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। হামেশাই বাপেরবাড়িতে চলে যেতেন মিঠুদেবী। দু’জনের মধ্যে মানসিক দূরত্ব বাড়ে। স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন হীরেন্দুবাবু। বছর তিনেক তাঁরা আলাদা থাকেন। এরপর ২০১৮সালের ১৩ জুন বর্ধমানের জেলা জজ কেশাং ডোমা ভুটিয়া তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনে সিলমোহর দেন। কিছুদিন আগে বাবার কাছ থেকে মাসে ৮ হাজার টাকা খোরপোশ দাবি করে আদালতে মামলা করে হীরেন্দুবাবুর ৫ বছরের মেয়ে। আবেদনটির শুনানি চলছিল।
মিঠুদেবীর আইনজীবী হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মামলাটি আমার কাছে আসার পর দু’পক্ষকে নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসি। বাচ্চা মেয়েটি বাবার পরিচয় ছাড়া কীভাবে বড় হবে তা বোঝাই। আলোচনায় বরফ গলে। দু’জনেই ফের সংসার করতে রাজি হন। কিন্তু, এক্ষেত্রে আইনি সমস্যা ছিল। খোরপোশের মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর সামাজিকভাবে দু’জনের বিবাহ হবে। পরে বিবাহ আইনিভাবে নথিভূক্ত করা হবে। বর্তমানে ডিভোর্সের সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে। ডিভোর্সের পরও যে ফের সংসার জোড়া যায় এটা তার উদাহরণ।