বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ঝাড়গ্রাম লোকসভায় দলের পরাজয়ের পরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলার দায়িত্ব দেন শুভেন্দু আধিকারীকে। তারপর শনিবার প্রথম শুভেন্দুবাবু দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। প্রায় আধঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ধরনের বুথ ও জেলাস্তরের নেতাদের কাছে রাজনৈতিক অবস্থা সর্ম্পকে জানতে চান তিনি। ওই বৈঠকে নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু বলেন, দাদা (শুভেন্দু অধিকারী) এখন যে দায়িত্ব পেয়েছেন, সেটা ছ’টা মাস আগে পেলে ভালো হতো। রণকৌশল ঠিকমতো করলে বিজেপি এই আসনটা পেত না। আগামীদিনে জঙ্গলমহল থেকে বিজেপিকে সাফ করব।
গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাত বলেন, আমরা প্রচারে খামতি রাখিনি। তবুও আমাদের পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছে। বুথের সংগঠনটা অনেক জায়গায় ঠিক নেই। নিজের বুথে ঠিক করে কাজ না করলে কী করে হবে? মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। আগামীদিনে বুথ থেকে সমস্ত স্তরে ঢেলে সাজিয়ে দিতে হবে। আমরা যে উন্নয়ন করেছি, তা যদি মানুষকে বোঝাতে না পারি, তাহলে তো খামতি রয়ে যাবে।
ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা বলেন, সমন্বয়ের একটা অভাব হয়েছিল। পুরানোদের যদি সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনতে পারি, তাহলে অনেক ভালো কাজ হবে। মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যা জানতে হবে।
বৈঠকে শুভেন্দুবাবু বলেন, জঙ্গলমহলে বহু লড়াই সংগ্রাম করেছি। তৃণমূলের উত্থানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমি শূন্য থেকে শুরু করা লোক। এই এলাকার মানুষের তৃণমূলের প্রতি যে আস্থা রয়েছে, তা ফেরাতে হবে। শাখা সংগঠনগুলিকে ঢেলে সাজাতে হবে। প্রতি বুথে বিভিন্ন সংগঠনের লোক রাখতে হবে। বিজেপি প্রাসাদের মতো বড় অফিস করেছে। আমাদের একচালার ঘরের মতো অফিস করতে হবে। আমাদের তো ওদের মতো টাকা নেই। পঞ্চায়েতের সঙ্গে দলকে আরও বেশি যুক্ত করতে হবে। এরপরই শুভেন্দুবাবু মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাপত্র দলমত নির্বিশেষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন নেতা-কর্মীদের। যে পরিবারের লোকজন তৃণমূল সমর্থক নন, তাঁদের বাড়ি গিয়েও শুভেচ্ছাপত্র দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, জঙ্গলমহলে বিপুল উন্নয়ন সত্ত্বেও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। মূলত সেদিকে তাকিয়েই মন্ত্রী এই পরামর্শ দিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ কর্মসূচি করে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাপত্র মানুষের হাতে তুলে দেবেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এজন্য রাজ্য থেকে শীঘ্রই শুভেচ্ছাপত্র জেলায় আসবে বলে জানা গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি বীরবাহা সরেন টুডু বলেন, মন্ত্রীর নির্দেশ মতো আমরা এই সপ্তাহ থেকেই জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করব।