পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত রায় বলেন, পেটের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হলেও চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে যান। শনিবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ হন। এদিন একটি বন্ধ ওটিতে হাসপাতালের কর্মীরা ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ দেখতে পান। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।
পুলিস ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর পুরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের কাদাকুলি বাউরি পাড়ার বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি বাপ্পা বাউরি গত বুধবার দুপুরে পেটে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি হন। রোগীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী মন্দিরা দেবী ছিলেন। দু’দিন চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে যান। হাসপাতাল থেকে ছুটির কাগজও তৈরি করা হয়। কিন্তু, শনিবার রাত থেকে রোগী নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। হাসপাতাল থেকেও নির্দিষ্ট নিয়মে থানায় নিখোঁজের ব্যাপারে তথ্য দেওয়া হয়। সোমবার দুর্গন্ধ পেয়ে হাসপাতালের এক কর্মী ওটির জানালা দিয়ে একটি ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তা চাউর হতেই হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী ও পরিজনদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে।
মৃতের ভাই কালু বাউরি বলেন, দাদার দু’টি ছোট ছোট ছেলে মেয়ে আছে। শনিবার পঞ্চমীতে মনসা পুজো থাকায় এবং দাদা সুস্থ থাকায় বউদিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ওইদিন রাতে দাদা হাসপাতালে একাই ছিলেন। পরের দিন সকালে বউদি দাদাকে ওয়ার্ডে দেখতে পাননি। সোমবার সন্ধ্যায় থানা থেকে বাড়িতে দাদার দেহ উদ্ধারের খবর দেওয়া হয়। বাড়িতে কোনও ঝুট ঝামেলা ছিল না। তাই আমরা ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত চাই।