বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর থেকেই পুরসভার মূল ফটকের বাইরে পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা জমায়েত হতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা পুরসভার গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন। বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছিল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, এই ঘটনা কার্যত তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে আবারও প্রকাশ্যে আনল। এর আগেও পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল।
এদিনের বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন পুরসভার ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতার কাজ করা অস্থায়ী মহিলা কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, পুরসভার চেয়ারম্যান বর্ষার আগে এই প্রকল্পের বিভিন্ন কাজ তাঁদেরকে দিয়ে না করিয়ে নিজের পছন্দমতো লোক দিয়ে করাচ্ছেন। অথচ এর আগে এই কাজ তাঁরাই করেছেন।
এছাড়াও পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরকারি প্রকল্পের ঘর না পাওয়া আবেদনকারী সহ বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা না পাওয়া স্থানীয় বাসিন্দারাও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হন। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গোবিন্দ পোদ্দার বলেন, এদিন আমরা পুরসভার ভবনের ভিতরে কাজে এসেছিলাম। কিন্তু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সাধারণ মানুষ আমাদের ঘেরাও করে রাখে। বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার ও পুরসভার কর্মী ঘেরাওয়ের ফলে বাইরে বের হতে পারেননি।
এদিন পুরসভায় ছিলেন না চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা আগে আমাকে লিখিতভাবে জানায়নি। এর আগেও একাধিকবার ভাইস চেয়ারম্যান তাঁর নিজস্ব কিছু প্রোমোটার ও দলবল নিয়ে উন্নয়নের বিরোধিতা করেছেন। বিষয়টি তিনি জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন। দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। তৃণমূলের একাংশের দাবি, এদিন যেসব কাউন্সিলার পুরসভায় উপস্থিত ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই ভাইস চেয়ারম্যান গোবিন্দবাবুর অনুগামী।