গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
১০০দিনের কাজ প্রকল্পের জেলা প্রকল্প আধিকারিক শুভঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, আমরা কাজের অসঙ্গতির জন্য হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্টের সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে শোকজ করছি। দু’দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হচ্ছে। তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রকল্পে কাটমানি খাওয়া এবং সরকারি কাজে বেনিয়ম নিয়ে রাজ্য রাজনীতির সরগরম অবস্থায় ১০০দিনের কাজের অধীনে হর্টিকালচারের ২৪টি প্রকল্প নিয়ে জেলায় শোরগোল পড়েছে। এই প্রকল্পগুলিতে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় পুকুর খনন করে বা পুরনো পুকুর নতুন করে খনন করে, সংস্কার করে সেই মাটি পুকুরের পাড়ে দিয়ে বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা ছিল। পঞ্চায়েত ১০০দিনের কাজের অধীনে জবকার্ডধারীদের এই কাজে শ্রমিক হিসেবে যুক্ত করে শ্রমদিবস সৃষ্টি করবে। সরকারি দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোড়াতেই গলদ রয়েছে। এই ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে সাঁইথিয়া ব্লকের মাঠপলশা পঞ্চায়েতের পাঁচটি, হাতোড়ার দু’টি ও পাড়ুই পঞ্চায়েতের একটি পুকুর রয়েছে। সিউড়ি-২ ব্লকের দমদমার চারটি, কেন্দুয়ার দু’টি, নলহাটি-১ ব্লকের বানিওর পঞ্চায়েতে একটি, খয়রাশোলের বাবুইজোড়, বড়রা, হজরতপুর, খয়রাশোল পঞ্চায়েতের একটি করে, দুবরাজপুরের গোয়ালিয়ারা, লক্ষ্মীনারায়ণপুর, পারুলিয়ায় একটি করে, ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকের দাসপলসা ও ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েতে একটি করে, মহম্মদবাজার ব্লকের আঙারগড়িয়া, কাপিষ্টা পঞ্চায়েতে একটি করে, রাজনগরের গাংমুড়ি জয়পুর ও সিউড়ি-১ ব্লকের তিলপাড়া পঞ্চায়েতে একটি করে পুকুরের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এভাবে জেলার নানা প্রান্তের পুকুর নিয়ে প্রকল্পগুলি শুরু হলেও রহস্যজনকভাবে জানা যায়, ২২টি প্রকল্পেরই অনুমোদন মূল্য এক। প্রশ্ন উঠছে কীভাবে নানা প্রান্তে একই সাইজের, একই অবস্থার পুকুর পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও বাকি তিনটি প্রকল্পের অর্থমূল্যও এক ৮লক্ষ ২৭হাজার টাকা। বাকি দু’টি ৮লক্ষ ৫১হাজার এবং একটি ১৪লক্ষ ৩১হাজার টাকা।
প্রকল্প অনুমোদনের রহস্য থেকে চোখ ফেরালেও প্রশাসনের চক্ষু চড়কগাছ হয় যখন দেখা যায় বহু প্রকল্পের প্রায় পুরো টাকা দেওয়া হয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। একই অবস্থায় রয়েছে পুকুরগুলি। কোনওরকম কাজ না দেখে কীভাবে টাকা দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এরসঙ্গে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইভাবে বিষয়গুলি নিয়ে দায় এড়াতে পারে না পঞ্চায়েতও। তাদেরই জবকার্ডধারীদের কাজ দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কাজ না করেই ভুয়ো মাস্টাররোলের মাধ্যমে টাকা উঠে গেল। এমনকী কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যাওয়া জেলাশাসক মৌমিতা গোদারাকে তাঁরা জানিয়েছেন, কোনও কাজ করেননি।