কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কলেজ খুলতেই এবিভিপির সদস্যরা সেখানে যান। পাশাপাশি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরাও কলেজ চত্বরে ছিলেন। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে নিজেদের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ তুলে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে যায়। তার জেরে দু’পক্ষের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়ায়। পরে কলেজের বাইরে তৃণমূল সমর্থক কয়েকজন সদস্যকে মারধরের অভিযোগ ওঠে এবিভিপির বিরুদ্ধে। পাল্টা এবিভিপির সদস্যদেরও মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এছাড়া কলেজের ভিতরে থাকা কয়েকটি চেয়ারও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস অকুস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিস অবশ্য লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে কলেজে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। পরে অবশ্য কলেজ কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে কলেজে যান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হুগলি জেলার সভাপতি তথা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায়। তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, রামমোহন কলেজে বর্তমানে কোনও দলেরই ছাত্র সংসদ নেই। লোকসভা ভোটে ফল ঘোষণার পর কলেজের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করেই এদিন এবিভিপি ও টিএমসিপি-র সদস্যদের মধ্যে মারামারি হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে দু’পক্ষই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এবিষয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সদস্য শেখ মোতিয়ার রহমান বলেন, এদিন কলেজে এবিভিপির বহিরাগতরা এসে আমাদের পতাকা ছিঁড়েছে। পাশাপাশি ছাত্রদের মারধর করেছে। হাসপাতালে জখম ছাত্র শেখ সৈয়দ ও শেখ শাকিল আনসারকে ভর্তি করা হয়েছে। আরও কয়েকজন জখম রয়েছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদেই আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি।
গোপালবাবু বলেন, কলেজে পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঢোকানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া সব সংগঠনেরই বহিরাগতদের রোখার ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে পরিচালন কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আবেদন করেছি।
এবিভিপির জেলা সম্পাদক ধর্মদাস বৌরি বলেন, এদিন কলেজে তৃণমূলের বহিরাগতরা আমাদের পতাকা ছিঁড়ে দেয়। সেই নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন আমাদের কার্যকর্তারা। সেখানেই গালিগালাজ করা হয়। পরে বাইরে আমাদের সদস্যদের মারধর করে।
রামমোহন কলেজের অধ্যক্ষ জীবন পাল বলেন, এদিন দু’পক্ষই আমার কাছে পতাকা ছেঁড়া নিয়ে অভিযোগ করতে আসে। পরে কলেজের গেটের বাইরে মারপিট হয়েছে। আমাদের অফিস বাইরে থেকে ছেলেরা তালা লাগিয়ে দেয়।