কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ জেলার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ব্লকগুলির মধ্যে লালগোলা অন্যতম। সংশ্লিষ্ট ব্লকের মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সড়ক নির্মাণের জন্য বহু আগে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সেই সড়ক প্রকল্পের জন্য জমি প্রদান করার পরও বাসিন্দারা ল্যান্ডলুজার সার্টিফিকেট পাননি বলে অভিযোগ। ক্ষতিগ্রস্ত ওই গ্রামবাসীদের একাংশ এদিন সেই সার্টিফিকেটের দাবিতে জেলা প্রশাসনিক ভবনে জড়ো হন। বেলা ২টো নাগাদ তাঁরা বিশেষ জমি অধিগ্রহণ আধিকারিক সুমন বিশ্বাসের অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। চরলবণগোলা, পশ্চিম দিয়ারা, মানিকচক, লালগোলা, আইরমারি, রামনগর প্রভৃতি এলাকায় বিক্ষোভকারীদের বাড়ি।
আইরমারি বাসিন্দা স্বস্তিক হাসান বলেন, ১৯৮৭সালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রাস্তা তৈরির জন্য আমাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমির দাম মিললেও এখনও ল্যান্ডলুজার সার্টিফিকেট পাইনি। মহম্মদ চয়ন আলি নামে আর একজন বলেন, সংশ্লিষ্ট রাস্তা তৈরির জন্য ২০০৩সালে আমাদের সাড়ে তিন বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমির দাম পেলেও ল্যান্ডলুজার সার্টিফিকেট এখনও অমিল। লালগোলার আর একটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের যুবক সুব্রত সাহাও একই কথা বলেছেন।
ওই তিন যুবক সহ অন্যান্যরা বলেন, সরকারি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২০০টি পরিবার রয়েছে এলাকায়। দীর্ঘ এক বছর ধরে ল্যান্ডলুজার সার্টিফিকেটের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ দপ্তরে চক্কর কাটছি। এজন্য, জমির দলিল, জমি অধিগ্রহণের মীমাংসা নোটিস সহ প্রশাসনের কাছে আবিদন করেছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। প্রশাসনের এক্সজামটেড ক্যাটাগুরিতে আমাদের নামই নথিভুক্ত হয়নি। যারফলে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। তাঁদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের একাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে নানা অছিলায় ওই সার্টিফিকেট প্রদান করছেন না।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, ২০০৪সালের ২৩ নভেম্বর ল্যান্ডলুজার সার্টিফিকেট প্রদানের বিষয়ে রাজ্য সরকারের একটি নির্দেশিকা রয়েছে। সেই নির্দেশিকা অনুসারে রাজ্য সরকারের প্রয়োজনে অধিগৃহীত জমির ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের এক্সজামটেড ক্যাটাগুরির তালিকায় আনা হবে। অর্থাৎ, তাঁদেরকে ল্যান্ডলুজার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়োজনে অধিগৃহীত জমির মালিকদের নাম এক্সজামটেড ক্যাটাগরির তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হবে না। এব্যাপারে অফিসের নোটিস বোর্ডে একটি বিজ্ঞপ্তিও সাঁটা হয়েছে। এই নির্দেশ অনুসারেই বিক্ষোভকারীদের ল্যান্ডলুজার সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব নয়। বিক্ষোভকারীদের জমি রাজ্য সরকারের প্রয়োজনে অধিগ্রহণ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়োজনে নেওয়া হয়েছে। যদিও, জেলা বিশেষ ভূমি অধিগ্রহণ আধিকারিক এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।